WHAT’S HOT NOW

ads header

Business

Theme images by kelvinjay. Powered by Blogger.

Canada Reads champion and Jeopardy! superstar Mattea Roach recommends 3 'must-read' memoirs

  "Essentially, one key thing to know about Joan Didion is not only did she live most of her life in California, but she was a fifth-ge...

Contact form

Name

Email *

Message *

Search This Blog

Blog Archive

Mobile Logo Settings

Mobile Logo Settings
image

Recent

4/recentposts
[recent]

Ad Space

Responsive Advertisement

Comments

4/recentcomments

Subscribe Us

Facebook

Popular

Life & style

Games

Sports

ঢাকা-১৭ আসনের ভোটের বিশ্লেষণ আরাফাত ও হিরো আলমের ভোটে দুই চিত্র

 ঢাকা-১৭ সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ছিল খুবই কম। এই কম ভোটের মধ্যেও এলাকাভিত্তিক ভোট পড়ার হারে আছে বড় ধরনের পার্থক্য। আবার আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোহাম্মদ আলী আরাফাত ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলমের পাওয়া ভোটের ক্ষেত্রেও এলাকাভিত্তিক এই ফারাক দেখা গেছে।


ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট, গুলশান, বনানী, বারিধারা, মহাখালী ও মিরপুরের কিছু অংশ নিয়ে গঠিত ঢাকা-১৭ আসন। এই আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ২৫ হাজার ২০৫ জন। ১৭ জুলাই অনুষ্ঠিত এই আসনের উপনির্বাচনে ভোট পড়ে ৩৭ হাজার ৪২০টি। সে হিসাবে ভোট পড়ার হার ১১ দশমিক ৫১ শতাংশ। প্রদত্ত ভোটের ৭৭ শতাংশ পেয়ে এ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম পান ১৫ শতাংশ ভোট। বাকি ভোট পেয়েছেন অন্য প্রার্থীরা।

এই আসনে মোট ভোটকেন্দ্র ছিল ১২৪টি। ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, ১২৪টির মধ্যে ২৩টি ভোটকেন্দ্রে ভোট পড়ার হার ছিল ৫ শতাংশের নিচে। এই কেন্দ্রগুলোর মধ্যে ১৪টি ক্যান্টনমেন্ট এলাকায়, ৫টি গুলশানে, ২টি বনানীতে, ১টি মাটিকাটায় এবং আরেকটি কেন্দ্র বারিধারায়। এগুলো (মাটিকাটা এলাকা বাদে) রাজধানীর অভিজাত এলাকা হিসেবে পরিচিত। কম ভোট পড়া কেন্দ্রগুলোর মধ্যে নারী ভোটারদের কেন্দ্রই বেশি। এই ২৩টি ভোটকেন্দ্রে আরাফাত পেয়েছেন প্রদত্ত ভোটের ৬৫ শতাংশ। আর হিরো আলম পেয়েছেন প্রায় ২৪ শতাংশ। এই এলাকায় হিরো আলম অন্য এলাকার তুলনায় বেশি ভোট পেয়েছেন।


দীর্ঘদিন ধরে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে না। মানুষ মনে করছে, তাদের ভোট দিয়ে লাভ নেই। কে জয়ী হবে, তা জানা। এ কারণে ভোটের প্রতি মানুষের অনীহা তৈরি হয়েছে।

সাবেক নির্বাচন কমিশনার এম সাখাওয়াত হোসেন


তবে ঢাকা-১৭ আসনের ৩০টি ভোটকেন্দ্রে ভোট পড়ার হার ১৫ শতাংশের ওপরে, এর মধ্যে ১১টিতে ভোট পড়ে ২০ শতাংশের বেশি। এই ভোটকেন্দ্রগুলো মিরপুর, মহাখালী, মাটিকাটা, কড়াইল, বালুঘাট, বাইগারটেক, কালাচাঁদপুর—এসব এলাকায় অবস্থিত। এসব এলাকায় বেশির ভাগ মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তের বসবাস। এমনিতে দুটি ভোটকেন্দ্র বাদে সব কেন্দ্রেই আওয়ামী লীগের প্রার্থী বেশি ভোট পেয়ে জয়ী হন। এই কেন্দ্রগুলোতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী তুলনামূলক বেশি ভোট পেয়েছেন। অন্যদিকে অভিজাত এলাকার তুলনায় এখানে ভোট কম পেয়েছেন হিরো আলম। এই ৩০টি ভোটকেন্দ্রে আরাফাত পেয়েছেন প্রদত্ত ভোটের ৭৯ শতাংশ। আর হিরো আলম পান ১৩ শতাংশ ভোট।


এই নির্বাচনের পর একটি প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ একটি বিজ্ঞপ্তি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। তাতে একটি নির্দিষ্ট এলাকার কারা কারা ওই নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন, তাঁদের নামের তালিকা দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়।

স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘এলিট’ ভোটারদের এলাকায় ক্ষমতাসীন দল প্রভাব বিস্তার করেনি বা করতে পারেনি। অন্য এলাকায় কম ভোট পাওয়ার কারণ, ওই এলাকাগুলোতে ভোটারদের ভয়ভীতি দেখানো হয়েছে। এ ছাড়া বস্তি এলাকায় জাল ভোটের ঘটনা বেশি ঘটেছে বলেও তিনি দাবি করেন।


এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোহাম্মদ আলী আরাফাতের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।


৫ শতাংশের কম ভোট


এই উপনির্বাচনে ৫ শতাংশের কম ভোট পড়েছে যে ভোটকেন্দ্রগুলোতে, সেগুলো হলো আইডিয়াল পাবলিক স্কুল, নিচতলা (মাটিকাটা, মহিলা ভোটার), গুলশানের মানারাত ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল কলেজ (একাডেমিক ভবন, দ্বিতীয় তলা মহিলা ভোটার কেন্দ্র), মানারাত ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল কলেজ (বালক ভবন, দ্বিতীয় তলা, মহিলা ভোটার কেন্দ্র-২), গুলশান মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজে মহিলা ভোটারদের দুটি কেন্দ্র, বনানী বিদ্যানিকেতনের মহিলা ভোটার কেন্দ্র-১ ও ২, নিকেতন হাউজিং সোসাইটি কার্যালয় জহুরুল ইসলাম মেমোরিয়াল কমপ্লেক্স (মহিলা ভোটার), আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজের চারটি ভোটকেন্দ্র (কেন্দ্র নম্বর ১, ২, ৩ ও ৪), মহাখালী ডিওএইচএসে বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ (মহিলা ভোটার), বিএএফ শাহীন কলেজ কুর্মিটোলা মহিলা ভোটার কেন্দ্র, ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজে চারটি কেন্দ্র (পুরুষ ভোটার-২, মহিলা ভোটার, পুরুষ ও মহিলা ভোটার কেন্দ্র ১ ও ২), বারিধারা স্কলার্স ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ (মহিলা ভোটার), ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের আদমজী ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুলের তিনটি ভোটকেন্দ্র (১, ২ ও ৩) এবং তেজগাঁওয়ে বিএএফ শাহীন কলেজ কেন্দ্র। এই ভোটকেন্দ্রগুলোতে মোট ভোটার ছিলেন ৬০ হাজার ২৮ জন। কিন্তু ভোট দিয়েছেন মাত্র ১ হাজার ৯৭৭ জন।


১ শতাংশের কম ভোট দুই কেন্দ্রে


এই উপনির্বাচনে দুটি ভোটকেন্দ্রে ভোট পড়ার হার ১ শতাংশের কম। এর মধ্যে আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজ (মহিলা ভোটার, কেন্দ্র-৪) কেন্দ্রে মোট ভোটার ছিলেন ১ হাজার ৯৯৮ জন। ভোট দিয়েছেন মাত্র ১৯ জন। এখানে ভোট পড়ার হার শূন্য দশমিক ৯৫ শতাংশ। এই ১৯ ভোটের মধ্যে আরাফাত পেয়েছেন ১২ ভোট আর হিরো আলম পান ৪ ভোট।

১ শতাংশের কম ভোট পড়া আরেকটি ভোটকেন্দ্রও ক্যান্টনমেন্ট এলাকায়। সেটি হলো শহীদ বীর বিক্রম রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট স্কুল (পুরুষ ও মহিলা ভোটার) কেন্দ্র-২। এই ভোটকেন্দ্রে মোট ভোটার ছিলেন ২ হাজার ৪২৯ জন। এর মধ্যে ভোট দেন মাত্র ২৪ জন। ভোট পড়ার হার শূন্য দশমিক ৯৯ শতাংশ। এই ২৪ ভোটের মধ্যে আরাফাত পান ১১ ভোট আর হিরো আলম পান ৮ ভোট।


এক কেন্দ্রে জয় হিরো আলমের


১২৪টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ১২২টিতে বেশি ভোট পেয়ে জয়ী হন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। তবে একটি কেন্দ্রে তিনি হিরো আলমের চেয়ে কম ভোট পান। আরেকটি কেন্দ্রে দুজনেই সমান ভোট পান। যে কেন্দ্রটিতে হিরো আলম জয়ী হন, সেটি হলো মহাখালী ডিওএইচএসে বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ও কলেজ (পুরুষ ভোটার) কেন্দ্র-১। এই কেন্দ্রে ভোট পড়েছিল ২২৫টি। এর মধ্যে হিরো আলম পান ১১০ ভোট। আর আরাফাত পান ৭৯ ভোট।


এ ছাড়া ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় শহীদ বীর বিক্রম রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট স্কুল (পুরুষ ও মহিলা ভোটার) কেন্দ্র-১-এ আরাফাত ও হিরো আলম সমান ভোট পান। এখানে মোট ৬০ ভোট পড়ে। এর মধ্যে এই দুই প্রার্থী সমান ২৫ ভোট করে পান।


অন্যদিকে ১৫ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে ৩০টি কেন্দ্রে। এগুলোর বেশির ভাগই পুরুষ ভোটারের কেন্দ্র।

তবে সামগ্রিকভাবেই নারী ভোটারের বেশির ভাগ কেন্দ্রে ভোটের হার কম হলেও যে কেন্দ্রটিতে ভোট পড়ার হার সবচেয়ে বেশি ছিল, সেটি ছিল নারী ভোটারের কেন্দ্র। ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে ভোট পড়ার হার সবচেয়ে বেশি ছিল পশ্চিম ভাষানটেকে অবস্থিত বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা উচ্চবিদ্যালয়ের মহিলা ভোটার-২ কেন্দ্রে। এখানে ভোট পড়ার হার ছিল ২৯ দশমিক ৩৬ শতাংশ।


সাবেক নির্বাচন কমিশনার এম সাখাওয়াত হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে এলাকাভিত্তিক ভোটের হার ও দুই প্রার্থীর ভোট পাওয়ার যে তারতম্য, তাতে ইসি একটি নতুন ধারা পেয়েছে। এই কেন্দ্রগুলোর বিষয়ে নির্বাচন কমিশন খতিয়ে দেখতে পারে। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে না। মানুষ মনে করছে, তাদের ভোট দিয়ে লাভ নেই। কে জয়ী হবে, তা জানা। এ কারণে ভোটের প্রতি মানুষের অনীহা তৈরি হয়েছে।

Tamim returns to Dhaka today

 Bangladesh One-Day International (ODI) team captain Tamim Iqbal is expected to return to Dhaka at 5:30pm today (Monday) from London after receiving treatment for his back pain.

Tamim consulted spine specialist Tony Hammond in London for his persistent back pain, which has been troubling him for months.


                                                                Bangladesh ODI captain Tamim Iqbal


The opener’s problem stems from his L-4 L-5 spinal segment. Tamim had two options to treat it. His first option was to undergo a surgery which would put him out of commission for 3-4 months. Moreover, there is no guarantee whether it would completely solve heal his spine.


                                               Tamim Iqbal was in London to treat his back pain


His second option was to take two injections to relief pain. The injections could potentially stop the pain for 1-4 months or more. But the pain could also return earlier than that and in that case, Tamim would have to take another injection.


With the Asia Cup and World Cup looming near, Tamim, as expected, decided against surgery and took the injections instead.


After returning to Dhaka, Tamim will be in complete rest for one week. In the following week, he will begin fitness training and rehabilitation. BCB physicians, physios and trainers will devise the rehabilitation programme after consulting Hammond.

If Tamim doesn’t feel any pain for the next 12-14 days, he can resume training in full swing.

Since the injections were administered, Tamim reportedly has been feeling well.

'যুদ্ধ এবার রাশিয়ার দিকে যাচ্ছে' - মস্কোতে ড্রোন হামলার পর জেলেনস্কি

 মস্কোতে এক ড্রোন হামলার পর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার প্রতি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে, যুদ্ধ এখন তাদের দিকে ফেরত যাচ্ছে।

দুই দেশের চলমান এই যুদ্ধের মধ্যে রাশিয়ার সীমানার ভেতরে আক্রমণ হওয়াকে ‘স্বাভাবিক, অবশ্যম্ভাবী ও সম্পূর্ণ ন্যায্য’ বলে অ্যাখ্যা দিয়েছেন মি. জেলেনস্কি।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে যে রবিবার তিনটি ইউক্রেনিয়ান ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে। এর মধ্যে দু’টি ড্রোন অফিস ভবনের ভেতরে পড়েছে।

এ ঘটনার জের ধরে শহরের দক্ষিণ-পূর্ব দিকে অবস্থিত ভ্নুকভো বিমানবন্দর সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

ড্রোন হামলার পর রবিবার পশ্চিম ইউক্রেনের ইভানো-ফ্রাংকিভস্ক শহর থেকে এক বার্তায় মি. জেলেনস্কি বলেন যে ইউক্রেন শক্তিশালী হচ্ছে।

“তথাকথিত ‘বিশেষ সেনা অভিযানের আজ ৫২২তম দিন। রুশ নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিরা ভেবেছিল যে এই অভিযান সপ্তাহ দুয়েকের বেশি চলবে না।”

“ধীরে ধীরে যুদ্ধ রাশিয়ার মাটিতে ফিরে যাচ্ছে। আর এটিই স্বাভাবিক, অবশ্যম্ভাবী এবং সম্পূর্ণ ন্যায্য”, বলেন মি. জেলেনস্কি।

এর আগে রাশিয়ায় হামলা হলে কিয়েভকে সেগুলোর দায় নিতে দেখা যায় নি। এবার অনেকটা স্বভাববিরুদ্ধভাবেই এই হামলার কৃতিত্ব নিতে দেখা যাচ্ছে ইউক্রেনকে।

এই ধরণের ড্রোন হামলাকে রুশ জনসাধারণের কাছে বার্তা পাঠানোর একটি সুযোগ হিসেবেও দেখতে পারেন মি. জেলেনস্কি। রাশিয়ার জনগণের একটা বড় অংশ মনে করে যে ইউক্রেনে অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল।

                               মস্কোতে ড্রোনের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্থ ভবন

এই ড্রোন হামলায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছে মস্কোর কর্তৃপক্ষ।

শহরের মেয়র সার্গেই সোবইয়ানিন জানান যে দু’টি অফিস ভবনের সামনের দিক কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া ছবি থেকে দেখা যায় যে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের বিভিন্ন স্থানে বেশ কিছু জানালা ভেঙ্গে গেছে। ভবনের দেয়ালের কিছু অংশ ভেঙ্গে পড়ে থাকতেও দেখা যায়।

একজন প্রত্যক্ষদর্শী সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের কাছে হামলার সময়ের পরিস্থিতি বর্ণনা করেছেন।

তিনি বলছিলেন, “আমরা একটা বিস্ফোরণের শব্দ শুনি, সেটি ছিল অনেকটা ঢেউয়ের মত। সবাই আমরা একসাথে লাফ দিয়ে উঠি।”

“তারপর সেখানে প্রচুর ধোঁয়া দেখতে পাই। প্রায় কিছুই দেখা যাচ্ছিল না। উপর থেকে শুধু আগুন দেখতে পাওয়া যাচ্ছিল।”

ঘটনার পরপর ভ্নুকোভো বিমানবন্দরের সব ফ্লাইট সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়। ওই বিমানবন্দরে নামার কথা ছিল, এমন বিমানগুলোকে অন্য বিমানবন্দরের দিকে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।

                         মস্কোতে রবিবার ড্রোন হামলা চালায় ইউক্রেন

ইউক্রেন সীমান্ত থেকে ৫০০ কিলোমিটারের (৩১০ মাইল) মধ্যে অবস্থান মস্কো শহরের। গত ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়া সেনা অভিযান শুরু করার পর থেকে মস্কোতে হামলা হওয়ার মত ঘটনা খুব কমই ঘটেছে।

তবে গত কয়েকমাসে রাশিয়া ইউক্রেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে যে তারা মস্কোতে একাধিক ড্রোন হামলা চালিয়েছে।

এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচিত ছিল মে মাসে ক্রেমলিনে ড্রোন হামলার অভিযোগ। মস্কো শহরের কেন্দ্রে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে লক্ষ্য করে দু’টি ড্রোন হামলা চালানো হয়েছিল বলে অভিযোগ তোলে রুশ কর্তৃপক্ষ।

ইউক্রেন অবশ্য প্রেসিডেন্ট পুতিনকে লক্ষ্য করে হামলা চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করে।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী দাবি করেছেন যে ক্রাইমিয়াতেও ইউক্রেন ড্রোন হামলা চালিয়েছে।

সংবাদ সংস্থা টাস রুশ কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে খবর প্রকাশ করেছে যে ক্রাইমিয়ায় হামলা চালানো ১৬টি ড্রোন ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে ও ৯টি ড্রোন অকেজো করে দেয়া হয়েছে।

ওদিকে, ইউক্রেনের কর্তৃপক্ষ বলেছে যে ইউক্রেনের উত্তর-পূর্বে সুমি শহরে রাশিয়ার মিসাইল হামলায় একজন মারা গেছে ও পাঁচজন আহত হয়েছেন।

এছাড়া শনিবার দক্ষিণের ঝাপোরিশা শহরে হামলায় আরো দুইজন মারা গেছে বলে দাবি করছে ইউক্রেনের কর্তৃপক্ষ।

এদিকে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেছেন, তিনি ইউক্রেনের সঙ্গে শান্তি আলোচনার প্রস্তাব নাকচ করে দিচ্ছেন না।

সেন্ট পিটার্সবার্গ শহরে আফ্রিকান নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠকের পর প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেন, আফ্রিকান এবং চীনা নেতাদের উদ্যোগ শান্তি প্রতিষ্ঠার ভিত্তি হিসেবে কাজ করতে পারে।

তবে মি. পুতিন বলেছেন, ইউক্রেনের বাহিনী যতক্ষণ পর্যন্ত আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে ততক্ষণ কোন যুদ্ধবিরতি নয়।

প্রেসিডেন্ট পুতিন এই কথা বলার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মস্কোতে ড্রোন হামলার ঘটনা ঘটে।

শান্তি উদ্যোগের ব্যাপারে এর আগে ইউক্রেন এবং রাশিয়া উভয়েই বলেছিল কোন পূর্বশর্ত মেনে তারা আলোচনার টেবিলে যাবে না।

কিয়েভ বলেছে, তারা তাদের দেশের কোন অংশই রাশিয়াকে ছেড়ে দেবে না।

তবে মস্কো বলেছে, সীমানা নিয়ে নতুন বাস্তবতা ইউক্রেনকে মেনে নিতে হবে।

গত বছর ইউক্রেনে হামলা করার পর রাশিয়া এখন দেশটির দক্ষিণ এবং পূর্বাঞ্চল দখল করে রেখেছে।

Dengue death toll rises to 247 with 8 more deaths

Dengue death toll rises to 247 with 8 more deaths


 Eight more deaths were reported from dengue in 24 hours till Sunday morning, raising the fatalities from the mosquito-borne disease in Bangladesh to 247 this year, reports UNB. During the period, 2,731 more patients were hospitalised with the viral fever, according to the Directorate General of Health Services (DGHS). Of the new patients, 1,184 were admitted to hospitals in Dhaka and the rest outside it, according to DGHS. A total of 9,418 dengue patients, including 5,147 in the capital, are now receiving treatment at hospitals across the country. So far, the DGHS has recorded 46,207 dengue cases, 37, 207 recoveries this year.

অপূর্ব মধুর ফল ত্বিন

অপূর্ব মধুর ফল ত্বিন






 গ্রিকরা অতীতে ত্বিন নামের ফলটিকে সোনার মতোই দামি মনে করতেন। আজ থেকে প্রায় দুই হাজার বছর আগেও ত্বিন বা ডুমুর চাষ করা হতো। পাকা লাল টুকটুকে ফলের রসাল মিষ্টি স্বাদ ফলপ্রেমীদের কাছে ত্বিনকে করেছে জনপ্রিয়। পবিত্র কোরআন, বাইবেল, ত্রিপিটক প্রভৃতি ধর্মগ্রন্থেও ত্বিন ফলের উল্লেখ আছে। ভারতে ত্বিন ফল আঞ্জির নামেও পরিচিত। আঞ্জির নামে সংরক্ষণযোগ্য শুকনো ফল হিসেবে ঢাকার অভিজাত বিপণিগুলোতেও এটি পাওয়া যায়। ত্বিন ডুমুরের আরবি নাম। বাংলায় এই ফলকে বলে ডুমুর বা মিষ্টিডুমুর, ইংরেজি নাম কমন ফিগ। ফলটির উদ্ভিদতাত্ত্বিক নাম Ficus carica, গোত্র মোরেসি। বাংলাদেশের ডুমুরের তুলনায় এর কিছু স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এর পাতা আমাদের চেনা ডুমুরের মতো নয়। পাতাটি পাঁচটি গভীর খাঁজে খণ্ডিত। ত্বিন গাছের প্রতিকূল পরিবেশে মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা অপরিসীম। তীব্র ঠান্ডা বা গরম, শৈত্যপ্রবাহ বা খরা—কোনো কিছুই তাকে নিঃশেষ করে দিতে পারে না। তবে বেশি বৃষ্টিপাত এর ফল ধারণের জন্য ক্ষতিকর। বছর কয়েক হলো ত্বিন ফল কিছু শৌখিন বাগানির হাত ধরে চলে এসেছে বাংলাদেশে। অনেকটা পরীক্ষামূলকভাবে এ দেশে লাগানো হয়েছে ত্বিন ফলের গাছ। কিছু নার্সারিতেও বিক্রি করা হচ্ছে ত্বিন ফলের চারা। কয়েক বছর ধরে ফলটি ফল নিয়ে বৃক্ষপ্রেমীদের মধ্যে বেশ উৎসাহ লক্ষ করা যাচ্ছে। কেউ কেউ ত্বিন ফলের কয়েকটা গাছ লাগিয়ে বাগান করেছেন। কেউ লাগিয়েছেন টবে, ছাদের বাগানে। বাংলাদেশে এখন নার্সারিগুলোতে ত্বিন ফলের বেশ কিছু জাতের গাছ দেখা যাচ্ছে। এগুলোর মধ্যে আসলে কোনটি আমাদের দেশের মাটি এবং আবহাওয়ায় ভালো ফলন দেবে, তা নিয়ে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে এইচ মহারাজ ও তাঁর সঙ্গীরা গবেষণা করেন। তাঁরা মিসরীয় ডুমুর ও ভারতীয় ডুমুর নিয়ে গবেষণা করে বলেছেন, ‘আমাদের দেশে এ দুটি জাতই চাষের জন্য উপযুক্ত। তাঁরা মিসরীয় ডুমুরের গাছপ্রতি গড় ফলের সংখ্যা পেয়েছেন ৬৮ দশমিক ৩ আর ভারতীয় জাতের গাছপ্রতি ফল পেয়েছেন ১০৩টি। ভারতীয় ডুমুরের ফলের আকার মিসরীয় ডুমুরের চেয়ে ছোট। ভারতীয় ডুমুরের গাছ মিসরীয় ডুমুরগাছের চেয়ে লম্বা ও ফল কম মিষ্টি। গবেষকেরা এ দেশে মিসরীয় জাতের ডুমুর চাষ লাভজনক হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন। ’বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক জয়দেব গোমস্তা ও অধ্যাপক ইমরুল কায়েস ত্বিন ফলের সাতটি জার্মপ্লাজম নিয়ে গবেষণা করে সেগুলোর বৈশিষ্ট্যকরণের কাজ সম্পন্ন করেছেন বলে জানান। তাঁরা গবেষণা করছেন এর বংশবৃদ্ধি ও চারা তৈরি নিয়ে। অধ্যাপক জয়দেব জানান, ডাল কেটে শাখা–কলমের মাধ্যমে সহজে এর চারা তৈরি করা সম্ভব হয়েছে। সারা দেশেই এর চাষ করা যায়, তবে শুষ্ক অঞ্চলে এর ফলন ভালো হবে। তাঁরাও আশা দেখছেন এ দেশে ত্বিন ফলের বাণিজ্যিক চাষের। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে রুবাইত আরাও ত্বিন ফল নিয়ে গবেষণা করেছেন। তিনি ৩০০ কৃষকের ওপর পরিচালিত এক জরিপে দেখেছেন, প্রায় ৭৫ শতাংশ কৃষকই নতুন এ ফল চাষ করতে আগ্রহী। ত্বিন ফলের চাষ উপকূলীয় এলাকায়ও করা সম্ভব। টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলায় কীর্তনখোলা গ্রামে জাদীদ আল মামুন গত বছর ৬০ শতাংশ জমিতে এক হাজার ত্বিন ফলের গাছ লাগিয়ে সে বছরেই প্রায় চার লাখ টাকার ফল বিক্রি করেন। তিনি বলেন, গাছ লাগানোর পর তিন মাসের মধ্যেই গাছে ফল ধরা শুরু হয়, ডিসেম্বর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত পাকা ফল তোলা যায়। গড়ে প্রতিটি গাছ থেকে তিনি ফল পেয়েছেন তিন থেকে চার কেজি। প্রতি কেজি ত্বিন ফল ঢাকায় বিক্রি করেছেন ৭০০ থেকে ১০০০ টাকায়। তবে বিক্রি করা সমস্যা বলে তিনি উল্লেখ করেন। ফল ধরা শেষে তিনি গাছ ছেঁটে দেন, এরপর গাছ আবার দ্রুত বড় হয়ে যায়। গাছ বাঁচে বেশ কয়েক বছর।

Least concern for the most vulnerable

 

Least concern for the most vulnerable


This year, Bangladesh is experiencing one of its worst dengue outbreaks yet. Even before the peak season, the number of cases has risen beyond 20,878 and the number of deaths from dengue has reached 106. Amid such a deadly outbreak, street children have unfortunately remained the most overlooked, while also being the most vulnerable to infection. According to a report in this newspaper, most street children are, in fact, not aware of dengue fever. Living the majority of their days under the open sky, these children are very vulnerable to dengue, but have zero access to treatment for it. Their best bet is to find shelter under a polythene sheet or in a slum – neither of which seem very safe, especially for children.

As it is, dengue infection can be most dangerous for children. Because of the lack of nutritious food they have access to, street children tend to have even lower immunity. Add to this the lack of medical care available to them, their lack of knowledge about dengue and how to treat it, and many of these children are surviving purely on luck.

Although there is no comprehensive data about the number of street children in Dhaka – which itself is a grave travesty – the Bangladesh Bureau of Statistics (BBS) conducted a survey in 2022 and estimated that the number of street children in the country might be over one million, 48.5 percent of whom live in Dhaka. And 20.9 percent of these children are involved in waste collection activities, which means the likelihood of them being exposed to Aedes mosquitoes is extremely high. So, it can be safely assumed that a vast number of street children have been suffering silently from the disease, while the entire government machinery has been totally oblivious to their plight.

This is completely unacceptable. It is time for the government to wake up to the sufferings of street children. Firstly, the government needs to collect reliable data regarding street children and seriously look into fixing the glaring problem of homelessness in Dhaka. It is shocking that while the government has been obsessed with its megaprojects, such a basic yet devastating issue has remained practically ignored.

In relation to the dengue problem, the government should establish medical centres in every ward of both the city corporations in the capital to provide free dengue tests and primary treatment, while spreading word about them among street children. Additionally, if any of these children become seriously ill, they should be referred to specialised hospitals and provided treatment free of cost.

Want everyone’s films to do well: Bubly

 

Want everyone’s films to do well: Bubly


This Eid is a special one for Shobnom Bubly. Two of her films, "Prohelika" and "Casino" have been released in theatres today. Her films last Eid also reached unprecedented heights, as Bangladeshi audiences reacted exceptionally well to "Leader Amie Bangladesh".

Bubly sits down with The Daily Star to speak about Eid releases and their subsequent success

Firstly, Eid greetings for everyone and I feel great. My gratitude towards my fans, as an artiste's film being released is a big deal for them. That too, two films. I hope fans will enjoy both "Prohelika" and "Casino".

This film adds a new feather to my cap. It has an exceptional story. In the film, I've donned the role of Orpa, Mahfuz Ahmed plays Mana and Nasir Uddin Khan, Jamshed. Chayanika Chowdhury was amazing in her craft and so were everyone involved.

Playing Arpa was very challenging, I had to take extensive preparations. My director helped in that regard. Thus I won't reveal much, let some surprises remain for the big screens.

The US tour will remain a memorable one for me and Joy: Apu Biswas

 

The US tour will remain a memorable one for me and Joy: Apu Biswas


Apu Biswas is currently attending the Fifth Bangladesh Film Festival in Kolkata, where "Laal Shari", a film she produced and starred in, will be screened today (July 30), at 3pm local time.Previously, she spent two weeks in the USA with Shakib Khan and their son Abram Khan Joy.

In conversation with The Daily Star, Apu shared that she is very happy that her first production is gaining appreciation from both sides of the border.

"I want to win people's heart through our film, and it is definitely a great honour that the film is being screened at such a prestigious festival", shared the actress.

Apu attended the press meet in Kolkata, and is currently spending time there with her team.

On the other hand, she also mentioned that the US tour was very important for her son, Joy. "He will always remember this visit to the US as a childhood memory."

The actor shared that Joy is very excited to share the stories with his friends at school. "The US tour will be a memorable one for me and Joy," she concluded.


'জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি'

 

জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি - ইত্তেফাকের শিরোনাম।

এতে বলা হয় জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলে বাংলাদেশের সদস্যপদ স্থগিতে অবিলম্বে পদক্ষেপ গ্রহণ, শান্তিরক্ষা মিশনে র‍্যাবের মানবাধিকার হরণকারীদের নিষিদ্ধ এবং জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে ও পরিচালনায় নির্বাচনের আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত লিন্ডা টমাস গ্রিনফিল্ডকে চিঠি দিয়েছেন ১৪ কংগ্রেসম্যান। 'শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সরকারের সহিংসতা'র বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) এই চিঠি দেওয়া হয়।

বাংলাদেশে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে নির্বাচন অনুষ্ঠানের আহবান – নয়া দিগন্তের শিরোনাম।

তারা বলছে জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলে বাংলাদেশের সদস্যপদ স্থগিতে অবিলম্বে পদক্ষেপ গ্রহণ, মানবাধিকার লঙ্ঘনের তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন ( র‍্যাব) সদস্যদের জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে নিয়োগ দেয়া স্থগিত রাখা এবং বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন তত্ত্বাবধান এবং পরিচালনায় জাতিসংঘের অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ১৪ জন কংগ্রেসম্যান।

এ সংক্রান্ত একটি চিঠি জাতিসংঘে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত লিন্ডা টমাস গ্রিনফিল্ডকে দেয়া হয়েছে। চিঠিতে সইকারী কংগ্রেসম্যান বব গুড গত বৃহস্পতিবার এক টুইটবার্তায় লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনে অংশ নেয়ার অধিকার রয়েছে। শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সরকারের সহিংসতায় উদ্বেগ জানিয়ে আমিসহ ১৩ জন সহকর্মী জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতকে চিঠি দিয়েছি।’

খবরটি নিয়ে প্রতিদিনের সংবাদ শিরোনাম করেছে - 

যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতকে ১৪ কংগ্রেসম্যানের চিঠি, জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের আহবান।

আজও রাস্তায় দুই দলের কর্মসূচী – কালের কন্ঠের প্রধান শিরোনাম এটি।

নয়াপল্টনের মহাসমাবেশ থেকে বিএনপি ঘোষণা দিয়েছে, আজ শনিবার রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশপথগুলোতে তারা টানা পাঁচ ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে। এ ঘোষণার পর আওয়ামী লীগও প্রবেশপথগুলোতে একই সময় অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে বলে জানিয়েছে। বিএনপির কাছাকাছি দূরত্বে থাকবেন আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) বলেছে, কোনো দলকেই এই অবস্থান কর্মসূচি পালনের অনুমতি দেওয়া হয়নি।

প্রশাসনের কর্মকর্তাদের প্রতি বিএনপির বার্তা - হুমকি নাকি কাছে টানার চেষ্টা?

 বাংলাদেশের বিরোধী দল বিএনপি বলেছে তারা ক্ষমতায় গেলে কোন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে দলীয় বিবেচনায় কিংবা আক্রোশমূলক কোন ব্যবস্থা নেবে না এবং কাউকে নিতেও দেবে না।

                     সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের উদ্দেশ্য করে বিবৃতি দিয়েছে বিএনপি।

দলের এক বিবৃতিতে আরও বলা হয়, যেসব কর্মকর্তা কর্মচারীরা কর্তৃপক্ষের চাপে বা আদেশে বেআইনি কাজ করেছেন তারা 'এখন থেকে এ ধরণের কাজ না করলে’ তাদের ভূমিকাও সহানুভূতির সাথে দেখবে দলটি।

দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ বিবৃতিটি দিয়েছেন যা নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা চলছে।

এ বিবৃতিটি নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের প্রতি কোন প্রচ্ছন্ন হুমকি কিনা - এ প্রশ্নের জবাবে বিএনপির একাধিক নেতা বলেছেন, প্রশাসনকে সচেতন করাই তাদের লক্ষ্য।

এই নেতারা বলছেন, প্রশাসনে কাজ করা কর্মকর্তাদের তাদের কর্তব্য সম্পর্কে সচেতন করার পাশাপাশি অতীতে যে যাই করুক - এখন থেকে নিরপেক্ষ আচরণ করলে তাদের চাকুরীর সুরক্ষা বিএনপি ক্ষমতায় আসলেও থাকবে - এমন বার্তাই দেয়া হচ্ছে দলটির পক্ষ থেকে।

একই সাথে এর উদ্দেশ্য হলো, প্রশাসনের কোনো স্তরেই যেন বিএনপিকে নিয়ে কর্মকর্তাদের মধ্যে ‘অমূলক’ কোনো ভয় না থাকে. এবং একই সাথে সামনের দিনগুলোতেও যেন কর্মকর্তারা নিরপেক্ষ থাকতে উৎসাহী হন - বলছেন তারা।

বিএনপির বিবৃতিটি এমন সময় এলো যখন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতিসহ পশ্চিমাদের নানা তৎপরতায় সরকার কিছুটা চাপে আছে বলে অনেকে মনে করেন।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বরাবরই এ ধরণের চাপের বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করছে। যদিও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন সময়ে পশ্চিমাদের দিকে ইঙ্গিত করে বলেছেন তাদের কেউ কেউ আওয়ামী লীগকে আর ক্ষমতায় দেখতে চাইছে না।

কিন্তু বাংলাদেশে গত পনের বছরে সরকার তার মতো করে দলীয় সমর্থক কর্মকর্তাদের দিয়ে প্রশাসন সাজিয়ে রেখেছে বলে বিরোধীরা বরাবরই অভিযোগ করে আসছে। এর আগে বিএনপি আমলেও তখনকার সরকারি দলের বিরুদ্ধে একই ধরণের অভিযোগ ছিলো সে সময়ের বিরোধী দলের।

নির্বাচনের আগে সরকারি কর্মকর্তাদের লক্ষ্য করে এমন বিবৃতিও নতুন নয়। কিন্তু নির্বাচনকে সামনে রেখে এ ধরণের বিবৃতি কি জনপ্রশাসনের কর্মকর্তাদের মধ্যে কোনো প্রভাব ফেলে ?

এমন প্রশ্নের জবাবে সাবেক মন্ত্রীপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার বিবিসি বাংলাকে বলছেন পেশাদার কর্মকর্তাদের প্রতি শ্রদ্ধা ও তাদের কাজের সুরক্ষার প্রতিশ্রুতি দলগুলোর দিক থেকে আসাটা ইতিবাচক।

“কিছু কর্মকর্তা সবসময় সরকারি দলের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে পড়েন। তাদের ওপর হয়তো এর প্রভাব পড়েনা। তবে কিছু পেশাদার কর্মকর্তা দোলাচলে থাকেন যে সরকার পরিবর্তন হলে তাদের কি হবে – এ ধরণের কর্মকর্তারা আশ্বস্ত হতে পারেন এমন ঘোষণা থেকে,” বলছিলেন মি. মজুমদার।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

কী বলা হয়েছে বিএনপির বিবৃতিতে

পঁচিশে জুলাই গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন জনগণের সমর্থনে যদি বিএনপি দেশ পরিচালনার সুযোগ পায়, তাহলে প্রজাতন্ত্রের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকুরীর সুরক্ষা নিশ্চিত করা হবে।

“কোন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে দলীয় বিবেচনায় কিংবা আক্রোশমূলক কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না বা কাউকেই তা করতে দেওয়া হবে না।"

"উপরন্তু, বিগত পনের বছর যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে অন্যায়ভাবে চাকুরিচ্যুত, বাধ্যতামূলক অবসর প্রদান, দীর্ঘদিন ওএসডি রাখা এবং পদোন্নতি বঞ্চিত করা হয়েছে, তাদের প্রতিও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা হবে”।

এতে আরও বলা হয়েছে যে যারা কর্তৃপক্ষের বেআইনি আদেশে কিংবা চাপে পড়ে বিতর্কিত কাজ করতে বাধ্য হয়েছেন - ‘এখন থেকে তারা যদি আর এরূপ অন্যায়, অবৈধ ও বেআইনি কোন কাজ না করেন, তাহলে তাঁদের পূর্ববর্তী ভূমিকা সহানুভূতি ও ইতিবাচক দৃষ্টিতে বিবেচনা করা হবে’।

কেন এই বিবৃতি

এবারের বিবৃতিতে যাই থাকুক না কেন, বিএনপি বরাবরই সরকারের বিরুদ্ধে প্রশাসনকে দলীয়করণের অভিযোগ করে আসছে। এমনকি ২০১৮ সালের নির্বাচন ‘পুলিশ ও জনপ্রশাসনের’ কর্মকর্তাদের ব্যবহার করে করা হয়েছে বলেও তারা অভিযোগ করেছিলো।

সরকার এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করলেও পুলিশ ও জনপ্রশাসনের কিছু কর্মকর্তার ভূমিকা নিয়ে সমালোচনা হয়েছে গণমাধ্যমেও।

২০২১ সালে শরিয়তপুরে একজন ওসি রাজনৈতিক শ্লোগান দিয়ে ব্যাপক আলোচনায় এসেছিলেন। সম্প্রতি নিজ এলাকায় রাজনৈতিক বক্তব্য নিয়ে পরে ওএসডি হয়েছেন সরকারের একজন সিনিয়র সচিব। পুলিশের কিছু কর্মকর্তার নাম ধরেই সমালোচনা হয় বিএনপির সভা সমাবেশ থেকে।

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলছেন, প্রশাসনের মধ্যে থাকা কিছু লোকজন বিএনপির বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে। এটা বন্ধ করার পাশাপাশি বিএনপি আশ্বস্ত করতে চাইছে যে তারা ক্ষমতায় গেলে কোনো পেশাদার কর্মকর্তা প্রতিহিংসার শিকার হবে না।

“আমাদের তো প্রশাসনের সাথে যুদ্ধ নেই। আওয়ামী লীগ উগ্র দলীয়করণ করেছে বলে পুলিশের কেউ কেউ দলীয় শ্লোগান দেন। আবার সচিবদের কেউ কেউ এলাকায় দলীয় বক্তব্য দেন। এগুলো বন্ধ করে কর্মকর্তারা নিরপেক্ষ যাতে হতে পারেন- সেই বার্তাই আমরা দেয়ার চেষ্টা করেছি,” বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন তিনি।

তবে দলের একাধিক নেতা বলছেন ২০১৪ ও ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগ পুলিশ ও প্রশাসনের সহায়তায় ক্ষমতা ধরে রেখেছে বলে তারা মনে করেন।

এবার তাই আগে থেকেই প্রশাসনযন্ত্রের দিকে নজর দিয়েছে বিএনপি। গত মাসের শুরুতে বিএনপির নেতা-কর্মীদের গুম, খুন এবং তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও গায়েবি মামলার সাথে সংশ্লিষ্ট ওসি, এসপিসহ অন্যান্য কর্মকর্তাদের বিষয়ে তথ্য জানতে চেয়ে সারা দেশে চিঠি পাঠিয়েছিলো দলটি।

চিঠিতে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলার সাথে জড়িত, বাদী, তদন্তকারী বা তদারককারী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নাম ও পরিচয় জানাতে বলা হয়। যদিও পরে দলটি সে অবস্থান থেকে সরে যায়।

দলটির মিডিয়ার সেলের প্রধান জহিরউদ্দিন স্বপন বলছেন, বিএনপি স্পষ্ট করে মনে করিয়ে দিয়েছে যে ‘গুটিকয়েক দলবাজের’ কারণে গোটা প্রশাসনের সাথে বিএনপির কোন বিরোধ নেই।

“আমরা মনে করি বেশীরভাগ কর্মকর্তাই পেশাদারিত্ব নিয়ে কাজ করতে চান। যদিও ক্ষুদ্র একটি অংশের কারণে সেটি ব্যাহত হয়েছে। তাই বিএনপি ক্ষমতায় গেলে কী হবে সেটা নিয়ে যাতে কোনো ভুল বোঝাবুঝি না থাকে সেটাই বিএনপি পরিষ্কার করেছে,” - বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন তিনি।

                  বাংলাদেশে এই বছরের শেষ নাগাদ জাতীয় নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে

লক্ষ্য বিদেশীরাও ?

দলের আরেকটি সূত্র বলছে যে সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন সহ নানা বিদেশী গোষ্ঠীর নির্বাচন কেন্দ্রিক তৎপরতা বেড়েছে।

আবার যুক্তরাষ্ট্র যে ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে সেখানে সুষ্ঠু নির্বাচনের অন্তরায় হিসেবে যারা কাজ করবেন তাদের প্রতি সতর্কবার্তা আছে।

আবার বিদেশী কূটনীতিকরা যারা আসছেন তাদের কাছে বিএনপি প্রশাসন দলীয়করণের অভিযোগ তুলছে। অনেক ক্ষেত্রে এসব কূটনীতিকরা বিএনপির কাছেও জানতে চাইছে যে নির্বাচনে জিতে তারা ক্ষমতায় গেলে কী করবেন।

এসব বিবেচনা করে বিএনপি ইতোমধ্যে একটি রূপরেখাও ঘোষণা করেছে যে নির্বাচনে বিজয়ী হলে তারা কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

এর ধারাবাহিকতাতেই মূলত প্রশাসনের কর্মকর্তা কর্মচারীদের লক্ষ্য করে বিবৃতিটি দিয়েছে বিএনপি।

দলটির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক সম্পাদক নাসির উদ্দিন অসীম বলছেন, সরকারের অপপ্রচারের কারণে অনেক কর্মকর্তার মধ্যে হয়তো ভয় ভীতি কাজ করতে পারে যে বিএনপি প্রতিশোধ নেবে।

“সেজন্যই বিএনপি নিশ্চিত করেছে যে এমন কিছু ঘটবে না। আমরা জানি প্রশাসন দলীয়করণ হয়ে আছে। কিন্তু আমরা চাই কর্মকর্তারা আইন মেনে কাজ করবেন এবং বেআইনি কোনো আদেশ যেন তারা না শোনেন,” বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন তিনি।

তার মতে অনেক কর্মকর্তাকে সরকার দলীয় স্বার্থে ব্যবহার করেছে কিন্তু বিএনপি বলতে চাইছে যে অতীতে যাই হোক এখন থেকে যেন তারা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীর মতো দায়িত্ব পালন করেন।

বিএনপির নেতারা মনে করছেন নির্বাচনকে সামনে রেখে তাদের এ ধরণের বার্তা সুষ্ঠু নির্বাচনে কর্মকর্তাদের আগ্রহী করে তুলবে এবং একই সাথে প্রশাসন নিয়ে বিএনপির পরিকল্পনা সম্পর্কেও প্রশাসনের কর্মকর্তারা একটি ধারণা পাবেন।