WHAT’S HOT NOW

ads header

Business

Theme images by kelvinjay. Powered by Blogger.

Canada Reads champion and Jeopardy! superstar Mattea Roach recommends 3 'must-read' memoirs

  "Essentially, one key thing to know about Joan Didion is not only did she live most of her life in California, but she was a fifth-ge...

Contact form

Name

Email *

Message *

Search This Blog

Blog Archive

Mobile Logo Settings

Mobile Logo Settings
image

Recent

4/recentposts
[recent]

Ad Space

Responsive Advertisement

Comments

4/recentcomments

Subscribe Us

Facebook

Popular

Life & style

Games

Sports

ঘুম থেকে উঠেই আদালতে বিএনপির নেতারা

 বিএনপি ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ১ লাখ ৩৮ হাজার ৭১টি মামলা রয়েছে। এসব মামলা আসামির সংখ্যা ৪০ লাখের ওপরে। বিএনপির মামলার তথ্য ও সংরক্ষণ শাখা এ হিসাব দিয়ে জানিয়েছে, ২০০৯ সাল থেকে গত ২৫ জুলাই পর্যন্ত এসব মামলা হয়েছে।


ছুটির দিন ছাড়া বাকি দিনগুলোয় সকালে ঘুম থেকে উঠেই আদালতে আসেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান। তিন মাস ধরে এটা তাঁর রুটিন কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যা ৪৫০। একেক দিন শুনানি থাকে চার থেকে পাঁচটি মামলার।


প্রায় একই রকম রুটিন (নিয়মিত কাজ) বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন (আলাল), বিএনপির চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমানের (শিমুল বিশ্বাস)। রিজভীর মামলা ১৮০টি। আলালের বিরুদ্ধে আড়াই শ আর শিমুল বিশ্বাসের বিরুদ্ধে দেড় শর বেশি মামলা রয়েছে।
 
বিএনপির নেতাদের মামলা পরিচালনা করেন এমন বেশ কয়েকজন আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শতাধিক মামলার আসামি এমন নেতা-কর্মীদের প্রায় সবাইকে ঘুম থেকে উঠেই আদালতে আসতে হয়। এমন পরিস্থিতির মধ্যে থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতাই আছেন শতাধিক।


বিএনপির আইনজীবীরা বলছেন, সরকারের শেষ সময়ে এসে বিরোধী দলের বিরুদ্ধে মামলার বিচারের গতি বেড়ে যাওয়ায় কারাগারের থাকা নেতাদের অনেককেও প্রায় প্রতিদিন আদালতে হাজির করা হচ্ছে। এমন একজন হচ্ছেন ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের সাবেক সভাপতি এবং উপনির্বাচনে ঢাকা-১৮ আসনে সংসদ সদস্য প্রার্থী এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন। তাঁর বিরুদ্ধে ৩১৭টি মামলা রয়েছে। দুই মাস ধরে প্রায় প্রতিটি কার্যদিবসে জাহাঙ্গীরকে কাশিমপুর কারাগার থেকে ঢাকার আদালতে হাজির করা হয়েছে। প্রায় প্রতিদিন কারাগার থেকে প্রিজন ভ্যানে করে আনা-নেওয়ার ফলে জাহাঙ্গীরসহ অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন জাহাঙ্গীরের স্ত্রী রাজিয়া সুলতানা। একই অবস্থা যুবদলের সাবেক সভাপতি কারাবন্দী সাইফুল আলমেরও (নিরব)। তাঁর বিরুদ্ধেও সাড়ে তিন শর বেশি মামলা রয়েছে।


বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ৭ সেপ্টেম্বর এক মামলায় ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজিরা দিতে যান

ঢাকার আদালতগুলোর মামলার তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, এরই মধ্যে ছয়টি মামলায় বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের ৪৪ জন নেতা-কর্মীর কারাদণ্ড হয়েছে। আরও ২০০ মামলার বিচার দ্রুত এগোচ্ছে। এর মধ্যে অন্তত ৩০টির বিচার শেষ পর্যায়ে। ১৭০টি মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ চলছে। এসব মামলায় কেন্দ্রীয় থেকে শুরু করে থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ নেতারা রয়েছেন।


বিএনপির নেতাদের আইনজীবীরা বলছেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে-পরে বিরোধী দলের আন্দোলনের সময় গাড়ি পোড়ানোসহ নাশকতার অভিযোগে করা মামলাগুলোর বিচার দ্রুত এগোচ্ছে। এ ছাড়া ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে সারা দেশে বিএনপির নেতাদের বিরুদ্ধে বিপুলসংখ্যক মামলা দেওয়া হয়। ‘গায়েবি মামলা’ নামে পরিচিতি পাওয়া ওই সব মামলার অনেকগুলো এখন বিচারের পর্যায়ে রয়েছে।


আবারও নামমাত্র নির্বাচন করতে আদালতকে ব্যবহার করে নেতা-কর্মীদের সাজা দিতে উঠেপড়ে লেগেছে সরকার।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মহাসচিব, বিএনপি

বিএনপির নেতারা মনে করছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে এবং সরকারবিরোধী আন্দোলন ঠেকাতে সরকার একের পর এক মামলা দিচ্ছে। এ ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় নেতাদের পাশাপাশি আন্দোলন ও নির্বাচনের ক্ষেত্রে থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ নেতা-কর্মীদের লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে থাকা পুরোনো মামলার নিষ্পত্তি করে সাজা নিশ্চিতের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।


আইনমন্ত্রী আনিসুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি প্রসিকিউশন বিভাগকে পুরোনো মামলা আগে নিষ্পত্তির উদ্যোগ নিতে বলেছি। পুরোনো মামলা নিষ্পত্তি করতে যেসব উদ্যোগ নেওয়া দরকার, তার সবই নেবে সরকার। এখানে আলাদা করে বিএনপির নেতাদের মামলা নিষ্পত্তির কোনো নির্দেশনা আমরা দিইনি।’

বিএনপির মামলার তথ্য ও সংরক্ষণ শাখার সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, ২০০৯ সাল থেকে গত ২৫ জুলাই পর্যন্ত বিএনপি ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ১ লাখ ৩৮ হাজার ৭১টি মামলা হয়েছে। এসব মামলা আসামির সংখ্যা ৪০ লাখের ওপরে। এর মধ্যে ঢাকা মহানগরের ৫০ থানায় ১৭ হাজার ৫৮৩টি মামলা রয়েছে বলে দাবি বিএনপির।


গত আগস্ট মাসেই আমান উল্লাহর বিরুদ্ধে ঢাকার আদালতে ৫৩টি মামলায় শুনানির দিন ধার্য ছিল। গড়ে দুটির বেশি মামলার শুনানির দিন ধার্য ছিল ঢাকার আদালতে।

 

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রথম আলোকে বলেন, ক্ষমতায় আসার পর সুপরিকল্পিতভাবে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে বিএনপির নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে হাজার হাজার গায়েবি মামলা দিয়েছে সরকার। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো আবারও নামমাত্র নির্বাচন করতে আদালতকে ব্যবহার করে নেতা-কর্মীদের সাজা দিতে উঠেপড়ে লেগেছে সরকার।


বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ৩৩টি মামলার আসামি। ৭ সেপ্টেম্বর আদালতে হাজিরা দেওয়ার পর বেরিয়ে আসছেন তিনি

মামলা জালে কেন্দ্রীয় নেতাদের সবাই


বিএনপির চেয়ারপারসন ও মহাসচিব থেকে শুরু করে শীর্ষ পর্যায়ের সব নেতাই মামলার আসামি। এর মধ্যে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আগেই সাজাপ্রাপ্ত হয়েছেন।

দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিরুদ্ধে মামলা ৯৮টি। তিনি গত ১৪ সেপ্টেম্বর ঢাকার এক অনুষ্ঠানে ব্যঙ্গ করে বলেছেন, ‘আমার নামে ৯৮টি মামলা। আর দুটি হলে সেঞ্চুরি হবে।’


৪৫০ মামলা

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খানের বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যা ৪৫০। তাঁর বিরুদ্ধে একেক দিন শুনানি থাকে চার থেকে পাঁচটি মামলার।

স্থায়ী কমিটির সদস্যদের মধ্যে খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও মির্জা আব্বাসের মামলার বিচার শেষ পর্যায়ে। জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে করা মামলাটি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬-এ সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ পর্যায়ে। মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের মামলায় খন্দকার মোশাররফের মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণও শেষ হয়েছে। সাফাই সাক্ষ্য গ্রহণ ও যুক্তিতর্ক শেষ হলেই মামলাটি রায়ের পর্যায়ে যাবে। মামলাটি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১-এ বিচারাধীন। দুদকের কৌঁসুলি (পাবলিক প্রসিকিউটর) মীর আহমেদ আলী সালাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘খন্দকার মোশাররফ অসুস্থ হয়ে বিদেশে যাওয়ায় মামলার নিষ্পত্তিতে বিলম্বে হয়েছে। এখন তিনি দেশে ফিরেছেন। আশা করি, দ্রুত মামলাটি নিষ্পত্তি হবে।’



এটা কি বিএনপিকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখার ‘কৌশল’?


স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য সেলিমা রহমানের বিরুদ্ধে চারটি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে বাস পোড়ানোর একটি মামলায় সম্প্রতি অভিযোগ গঠন হয়েছে। আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলার বিচার চলছে।


দলটির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমানের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা শেষ পর্যায়ে আছে। ঢাকার বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতে বিচারাধীন মামলার আটজন সাক্ষীর মধ্যে সাতজনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান ও ২০১৮ সালে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী (ধানের শীষ) আহসান হাবীবের বিরুদ্ধে নাশকতার অভিযোগে করা মামলাটির রায়ের তারিখ ধার্য রয়েছে ২৭ সেপ্টেম্বর।

বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান (শিমুল বিশ্বাস) ১৭৪ টি মামলার আসামি।গত ৭ সেপ্টেম্বর মামলায় হাজিরা দিতে ঢাকার সিএমএম আদালতে লিফটে ওঠার লাইনে তিনি

খালেদা জিয়ার বিশেষ সহকারী শিমুল বিশ্বাসের ২৫টি মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ দ্রুতগতিতে চলছে। ফলে প্রায় প্রতিদিনই তাঁকে আদালতে হাজির হতে হয়। সর্বশেষ ৭ সেপ্টেম্বর ও গত রোববার তাঁকে আদালতে হাজির হতে দেখা গেছে। বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবীরের বিরুদ্ধে থাকা পাঁচটি মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ পর্যায়ে আছে। সাংগঠনিক সম্পাদক (রাজশাহী) রুহুল কুদ্দুস তালুকদারের বিরুদ্ধে ৫০টি মামলা, এর মধ্যে ১০টি মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ পর্যায়ে।

পুরোনো মামলা আগে নিষ্পত্তির উদ্যোগ নিতে বলেছি। আলাদা করে বিএনপির নেতাদের মামলা নিষ্পত্তির কোনো নির্দেশনা আমরা দিইনি।
আনিসুল হক, আইনমন্ত্রী

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালামের বিরুদ্ধে মামলা ৮০টি, এর মধ্যে সাক্ষ্য গ্রহণ পর্যায়ে ১০টি মামলা। একই কমিটির ভারপ্রাপ্ত সদস্যসচিব তানভীর আহমেদের বিরুদ্ধে মামলা ১২৭টি। তাঁর আইনজীবী আবদুর রাজ্জাক প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে অন্তত ৫০টি মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ চলছে। তানভীরের বাবা সাবেক সংসদ সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে আছে দেড় শ মামলা। এর মধ্যে ৬০টিতে সাক্ষ্য গ্রহণ চলছে। দুজনকেই কারাগার থেকে নিয়মিত আদালতে হাজির করা হচ্ছে।



বিএনপির নেতাদের আইনজীবীসহ সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, ২০১৩ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে ঢাকায় বাসে আগুন, ককটেল বিস্ফোরণসহ বিভিন্ন অভিযোগে করা দুই শতাধিক মামলার তালিকা তৈরি করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। সেই মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য নিয়মিত সাক্ষী হাজির করা হচ্ছে।


সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান জয়নুল আবেদীন প্রথম আলোকে বলেন, ‘৫০ বছরের আইন পেশায় দেখেনি, একজন রাজনৈতিক নেতার নামে কোনো সরকার তিন শ, চার শ মামলা দিতে পারে।’ তিনি অভিযোগ করেন, নির্বাচনে বিএনপি নেতাদের অযোগ্য করতে সরকার আদালতকে ব্যবহার করছে। সম্প্রতি সন্ধ্যার পরও রাজনৈতিক মামলায় সাক্ষ্য নিতে দেখা গেছে।


২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে দুটি মামলায় সাজা দেন ঢাকার আদালত। তাঁর আরও তিনটি মামলার বিচার চলছে।

 

তবে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিএনপির নেতারা যা বলছেন, তা সঠিক নয়। কয়েক বছরের পুরোনো মামলা নিষ্পত্তির জন্য রাষ্ট্রপক্ষ সাক্ষীদের আদালতে হাজির করছে। বিএনপি নেতাদের কোনো মামলা নিষ্পত্তিতে রাষ্ট্রপক্ষ কাজ করছে না।’


বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী ৭ সেপ্টেম্বর ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে হাজিরা দেওয়ার পর আদালত চত্বর ছেড়ে যাচ্ছেন

৪৪ নেতা-কর্মীর সাজা


ঢাকার বিভিন্ন আদালতে গত আট মাসে ছয়টি মামলায় বিএনপি ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের ৪৪ জন নেতা-কর্মীর সাজা দিয়ে রায় হয়েছে। তাঁরা মূলত ঢাকা মহাগর, থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ নেতা-কর্মী।এর মধ্যে আট বছর আগে গুলশান এলাকায় বাসে আগুন দেওয়ার মামলায় গত বছরের ৩০ নভেম্বর ঢাকা মহানগর যুবদলের (উত্তর) আহ্বায়ক শরীফ উদ্দিনসহ (জুয়েল) তিনজন বিএনপি নেতাকে কারাদণ্ড দেন আদালত।১০ বছর আগে সবুজবাগে ককটেল বিস্ফোরণসহ নাশকতার মামলায় গত ১৯ জুন বিএনপি নেতা, সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর হামিদুর রহমানসহ সাতজনের দুই বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।ফৌজদারি বিচারব্যবস্থাকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করার ফলাফল খুব খারাপ হয়। শাহদীন মালিক, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীআর ১০ বছর আগে মুগদা এলাকায় বাসে আগুন দেওয়ার অভিযোগে করা মামলায় গত ৩ এপ্রিল বিএনপির আরও সাতজন নেতা-কর্মীর কারাদণ্ড দেন আদালত।  গত ৭ আগস্ট যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক সরকারসহ ২১ জনের কারাদণ্ড দিয়েছেন ঢাকার সিএমএম আদালত।

 

২০১৩ সালে কোতোয়ালি থানা এলাকায় গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগে মামলাটি ছিল।গত ১৭ আগস্ট সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যাচেষ্টার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে করা মামলায় সাংবাদিক শফিক রেহমান, আমার দেশ-এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, জাসাস সহসভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহসহ পাঁচজনের কারাদণ্ড দিয়েছেন ঢাকার সিএমএম আদালত। সর্বশেষ গত ১৮ আগস্ট রমনা থানার একটি মামলায় আবুল কালাম আজাদ নামের একজন বিএনপির কর্মীকে সাজা দিয়েছেন আদালত।

 

তিন শতাধিক মামলার আসামি ঢাকা মহানগর যুবদলের (উত্তর) সাবেক সভাপতি এস এম জাহাঙ্গীরকে হাজিরা শেষে আদালতের হাজতখানায় নিয়ে যায় পুলিশ। ঢাকা, ৭ সেপ্টেম্বর

স্থায়ী কমিটির দুই সদস্য রফিকুল ইসলাম মিয়া, ইকবাল হাসান মাহমুদ ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ (আমান) ইতিমধ্যে দণ্ডপ্রাপ্ত। ইকবাল হাসান মাহমুদের বিরুদ্ধ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে সম্প্রতি।
সাত বছর আগে মানি লন্ডারিং মামলায় তারেক রহমানের প্রথম সাজা হয়। এরপর আরও চারটি মামলায় তাঁর সাজা হয়েছে। বিদেশে থাকা অবস্থায় সর্বশেষ গত ২ আগস্ট দুর্নীতির মামলায় তাঁর ৯ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে। একই মামলায় তারেকের স্ত্রী জুবাইদা রহমানকেও তিন বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। মাত্র ১৬  কার্যদিবসে মামলাটি নিষ্পত্তি করা হয়।

আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, যাঁর বিরুদ্ধে ৫০টির অধিক রাজনৈতিক মামলা সচল; তাঁর প্রায় প্রতিদিনই কোনো না কোনো মামলার শুনানির দিন ধার্য থাকে। এসব মামলায় আগে এক-দুই মাস, তিন মাস পর শুনানির দিন ধার্য থাকত।

আর ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে দুটি মামলায় সাজা দেন ঢাকার আদালত। তাঁর আরও তিনটি মামলার বিচার চলছে।


আদালতেই কাটছে দিন


শতাধিক মামলার আসামি যেসব নেতা-কর্মী, আদালত অনেকটা তাঁদের ঠিকানায় পরিণত হয়েছে। তাঁদের একজন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান। তাঁর মামলার সংখ্যা সাড়ে চার শর বেশি। তাঁর আইনজীবী জাকির হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, হাবিব উন নবীর ৫০টিরও অধিক মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ চলছে। আদালতে না হাজির হলেই জামিন বাতিল হয়ে যাবে।


সাড়ে চার শ মামলার আসামি হাবিব উন নবী খান প্রায় প্রতিদিনই ঢাকার আদালতে হাজিরা দিতে আসেন। গত ৭ সেপ্টেম্বর আদালত ভবনের বারান্দায় এভাবে দেখা গেল তাঁকে

হাবিব উন নবী খান প্রথম আলোকে বলেন, ‘শুক্র ও শনিবার বাদে প্রতিদিনই ঘুম থেকে উঠেই চলে আসি আদালতে। কোনো দিন সকালে নাশতা করতে পারি, কোনো দিন আদালতে এসে নাশতা করি।’ তিনি বলেন, তিন মাস ধরে প্রতিদিনই সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত আমি আদালতে অবস্থান করি। এক মামলায় মহানগর আদালতে থাকি, আরেক মামলায় আবার ঢাকার সিএমএম কোর্টে হাজির হতে হয়। আদালতই আমার ঠিকানা হয়ে গেছে।’


বিএনপির নেতারা যা বলছেন, তা সঠিক নয়। কয়েক বছরের পুরোনো মামলা নিষ্পত্তির জন্য রাষ্ট্রপক্ষ সাক্ষীদের আদালতে হাজির করছে। বিএনপি নেতাদের কোনো মামলা নিষ্পত্তিতে রাষ্ট্রপক্ষ কাজ করছে না।

 

এ এম আমিন উদ্দিন, অ্যাটর্নি জেনারেল

মামলার তথ্য এবং বিএনপির নেতাদের পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এমন আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, যাঁর বিরুদ্ধে ৫০টির অধিক রাজনৈতিক মামলা সচল; তাঁর প্রায় প্রতিদিনই কোনো না কোনো মামলার শুনানির দিন ধার্য থাকে। এসব মামলায় আগে এক-দুই মাস, তিন মাস পর শুনানির দিন ধার্য থাকত। দুই মাসের বেশি সময় ধরে শুনানির দিন ধার্য হচ্ছে ৭ থেকে ১৫ দিন পরপর।

বিএনপির আইনজীবীদের আন্দাজ, ঢাকার আদালতে রোজ আসতে হয়, এমন নেতা-কর্মীর সংখ্যা পাঁচ শতাধিক হবে।


মামলার শুনানির তিন মাসের তালিকা পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, গত আগস্ট মাসেই আমান উল্লাহর বিরুদ্ধে ঢাকার আদালতে ৫৩টি মামলায় শুনানির দিন ধার্য ছিল। গড়ে দুটির বেশি মামলার শুনানির দিন ধার্য ছিল ঢাকার আদালতে।

তবে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের প্রধান কৌঁসুলি (পিপি) আবদুল্লাহ আবু প্রথম আলোকে বলেন, ‘বছরের পর বছর যেসব মামলা ঝুলে আছে, সেগুলোর তালিকা তৈরি করা হয়েছে। এসব মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য আমরা আদালতে সাক্ষী হাজির করছি। বিএনপি নেতাদের মামলা নিষ্পত্তির কোনো টার্গেট রাষ্ট্রপক্ষের নেই।’

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ৭ সেপ্টেম্বর এক মামলায় আদালতে হাজিরা দেওয়ার পর আরেক মামলায় হাজিরা দিতে পৃথক আদালতে যাচ্ছেন

গত মাসে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর বিরুদ্ধে ঢাকার আদালতে ৩৪টি মামলার শুনানির দিন ধার্য ছিল। প্রায় প্রতিদিনই তাঁকে আদালতে হাজিরা দিতে হয় বলে জানালেন তাঁর আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন। তিনি বলেন, রিজভীর বিরুদ্ধে ১৮০টির বেশি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে অন্তত ২৫টি মামলায় বিচার সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়েে।


মির্জা ফখরুল ইসলামের গত আগস্ট মাসে ঢাকার আদালতে ৭টি মামলার শুনানির দিন ধার্য ছিল। তাঁর আইনজীবী মেজবাহ জানান, প্রতি মাসেই বেশ কয়েকবার বিএনপির মহাসচিবকে মামলায় হাজিরা দিতে হয়। বর্তমানে একটি মামলা সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে আছে। সর্বশেষ ৪ সেপ্টেম্বর পল্টন থানার মামলায় মির্জা ফখরুল, রুহুল কবির রিজভী, হাবিব উন নবী খানের বিরুদ্ধে বিচার শুরু হয়।


কারাগারে থাকা যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলমের বিরুদ্ধে করা মামলায় প্রায় প্রতিদিনই শুনানি থাকে। ৭ সেপ্টেম্বর আদালতে শুনানি শেষে তাঁকে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়

মামলা পরিচালনাকারী আইনজীবীদের তথ্য অনুযায়ী, একইভাবে প্রায় প্রতি কর্মদিবসে আদালতে হাজিরা দিচ্ছেন বিএনপির স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী (২৫০ মামলা), ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্যসচিব রফিকুল আলম (২২৬ মামলা), যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাহ উদ্দিন (৩১৫ মামলা), স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী (১৭০ মামলা), সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান (১৪৬ মামলা), জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবদুল কাদির ভূঁইয়া (১৫০ মামলা), আকরামুল হাসান (১৪৬ মামলা), হাবিবুর রশীদ (১০৩ মামলা), বজলুল করিম চৌধুরী (৯৫ মামলা), মামুন হাসান (২০০ মামলা), সহসাংগঠনিক সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুল (১১০ মামলা), গণশিক্ষাবিষয়ক সহবিষয়ক সম্পাদক আনিসুর রহমান তালুকদার (২১১ মামলা), ছাত্রদলের সাইফ মোহাম্মদ (১০৬ মামলা)।


৬০ মামলার আসামি ঢাকা মহানগর (উত্তর) বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এজিএম শামসুল হকসহ (বাঁ থেকে দ্বিতীয়) বিএনপির নেতারা হাজিরা দিতে ঢাকার আদালতের বারান্দায় অপেক্ষা করছেন। শামসুল হকের ভাষ্য, আদালতে যাতায়াত, খাওয়া-দাওয়া, উকিলের ফিসহ মামলার খরচ চালাতে গিয়ে তিনি দিশেহারা

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শাহদীন মালিক প্রথম আলোকে বলেন, বিএনপি যে বলে আসছে, ফৌজদারি মামলা দিয়ে তাদের লোকজনকে রাজনীতির মাঠ থেকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বিএনপির সেই কথাগুলো এখন সত্য প্রমাণিত হচ্ছে। বিএনপি নেতারা মামলায় হাজিরা দিয়ে চলেছেন; কারও কারও সাজা হচ্ছে। তিনি বলেন, ফৌজদারি বিচারব্যবস্থাকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করার ফল খুব খারাপ হয়।


'I didn't have much to lose,' accused killer says after striking Muslim family with pickup truck Social Sharing Facebook Twitter Reddit LinkedIn Email

 

Nathaniel Veltman on trial for murder-terror after Afzaal family attacked in June 6, 2021, in London, Ont.

Warning: This story contains distressing details:

More than 12 hours after a Muslim family was struck by a truck in London, Ont., on June 6, 2021, their accused killer sat shivering in a police interrogation room, telling a detective he didn't have particularly strong connections with anyone in his life. 

The murder-terror trial of Nathaniel Veltman in Ontario Superior Court in Windsor is in its second week. On Monday, the jury watched a police video of the accused speaking to London police Det. Micah Bourdeau the morning after the attack.

Bourdeau was in the witness box Monday as the video was playing.

In the footage, the accused says, "I would say I didn't feel like I had much to lose at all. If I did, I wouldn't have done it because there would have been someone else, but I didn't have much to lose."

Veltman said he spent a lot of time on the internet doing "research" about what he called media dishonesty and the role of Western governments in covering up crimes committed by minorities against white people. Even online, the accused said, he didn't interact with people who shared his views because he was worried about being put on a government watch list. 

"I was very paranoid about the feds," he told the detective. 

Veltman, 22, is charged with four counts of first-degree murder and one count of attempted murder, as well as associated terror charges. He has pleaded not guilty. 

Yumnah Afzaal, 15, her parents, Madiha Salman, 44, and Salman Afzaal, 46, and family matriarch Talat Afzaal, 74, were killed. A boy who was nine years old at the time survived. 

Prosecutors allege they were targeted because they were wearing traditional Pakistani clothing and were Muslim.

Bourdeau had interviewed the accused — the detective balked when defence lawyer Christopher Hicks suggested it was an interrogation — two separate times following the attack: for about 2½ hours until close to 4 a.m., and again starting at around 9:30 a.m. 

Questioned about why the interview was so urgent given the accused was in custody and his truck was secured, Bourdeau said it was impossible to tell if Veltman had been working with anyone or what else the accused may have been planning. 

"Our city has never seen anything like this and I would venture to say we didn't know what exactly we were dealing with," Bourdeau told Hicks under cross-examination. "We didn't know what we didn't know. We didn't know if there was further danger to the public, and I and the investigative team felt that it was imperative to find that out as soon as possible."

Bourdeau denied Hicks's suggestions that the overnight interview was an attempt to keep the accused "as uncomfortable as possible: giving [those in custody] no food, no water, a cement bed, keep them cold." 

"Whether he was exhausted or afraid, that was not by my design. I spoke to him then because I thought it was urgent to do so," the detective testified.

He said he repeatedly asked the accused if he needed something to eat or drink, and during the second interview brought him a blanket, which can be seen on the interview video played for the jury. 

Being in police custody brought a "huge sense of relief," the accused says in the video to the detective. 

"I went through with it — it's over. I'm going to jail now. It's done. I'm relieved that I finally did it, that I followed through with it," he said. "At first I felt sick, I always feel sick, because it wasn't a very pleasurable thing to do, but the fact that I had followed through was a relief. But still, it doesn't seem real."   

Veltman confirmed to Bourdeau that the one friend he had was Muslim. That baffled the detective, who said he was confused how he could be friends with a Muslim person and also set out to kill people who follow Islam. 

"He's secular," the accused explained about his friend. "And I doubt he wants anything to do with me now, but yeah, he's probably the closest friend I've ever had. He technically comes from a Muslim family but he's not really Muslim." 

T-shirt taken as evidence

A police video of an interview earlier on the night he was arrested was played to the jury last week. In it, the accused appears confident and happy to talk about his motivations for killing the family, including revenge and to send a warning to others who practise Islam. 

By the second interview, at around 10 a.m., he's cold and sits hunched over, often hugging himself. He tells the officer, "I feel like I'm having a dream. 

"Look, I didn't want to do this — I just felt like I had to," he tells Bourdeau. "This was very, very, very distasteful, but I just felt like it was the only way I could send the message I had to send. I felt like I had no other option." 

Eventually, the T-shift he's wearing, which is white and spray painted with a large black cross, is taken as evidence. The accused told the detective the shirt is a joke, meant to look like a "crusader shirt." 

He also told Bourdeau he made a point to flash the "OK" sign with his hand when he was arrested, a benign symbol that in some circles has come to symbolize white power. 

"It was a successful troll," he explained. "The stupid liberals call everything racist all day every day, and people thought, 'I bet we can make them think the OK symbol is racist,' and it worked." 

He noted he doesn't use the term white power because he doesn't want to "enslave the Blacks," but rather, he wants "ethnic autonomy" and to "not give over everything to minorities." 

The defence's cross-examination of Bourdeau is expected to continue on Tuesday.





৭ দিনের চিত্র: ডেঙ্গুতে ৬৩ শতাংশ মৃত্যু হাসপাতালে ভর্তির ২৪ ঘণ্টার মধ্যে

 ৭ দিনের চিত্র: ডেঙ্গুতে ৬৩ শতাংশ মৃত্যু হাসপাতালে ভর্তির ২৪ ঘণ্টার মধ্যে

মেয়ে নাইমা সুলতানা ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। হঠাৎ শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে বাবা মো. রুহুল আমিন তাকে নেবুলাইজার দিয়ে স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছেন। গতকাল বেলা সাড়ে ১১টায় চট্টগ্রাম নগরের আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে

ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু কমছে না। বরং হাসপাতালে ভর্তির এক দিনের মধ্যে মৃত্যুর হার আরও বাড়ছে। দেখা গেছে, ৬৩ শতাংশ ব্যক্তির মৃত্যু ঘটছে হাসপাতালে ভর্তির এক দিনের মধ্যে। গত আগস্ট মাসেও হাসপাতালে ভর্তির এক দিনের মধ্যে মৃত্যুর হার ছিল ৫৬ শতাংশ। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্যে এ চিত্র উঠে এসেছে।


এরই মধ্যে গতকাল সোমবার ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর দেশে ডেঙ্গুতে ৮৩৯ জনের মৃত্যু হলো। আর চলতি সেপ্টেম্বর মাসে এখন পর্যন্ত এডিস মশাবাহিত এ রোগে মৃত্যু হলো ২৪৬ জনের।


চলতি বছর ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১ লাখ ৭০ হাজার ৭৬৮ জন। তাঁদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ৭৪ হাজার ১২৭ এবং ঢাকার বাইরে ৯৬ হাজার ৬৪১ জন রয়েছেন।


গতকাল অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় (রোববার সকাল আটটা থেকে সোমবার সকাল আটটা পর্যন্ত) ডেঙ্গুতে ঢাকায় ১০ জন এবং ঢাকার বাইরে সাতজন মারা গেছেন। এ সময় ডেঙ্গু নিয়ে ৩ হাজার ৮৪ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ৮৯৪ জন এবং ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোয় ২ হাজার ১৯০ নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন।


চলতি বছর ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১ লাখ ৭০ হাজার ৭৬৮ জন। তাঁদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ৭৪ হাজার ১২৭ এবং ঢাকার বাইরে ৯৬ হাজার ৬৪১ জন রয়েছেন।


এবার ডেঙ্গুতে মৃত্যুর একটি বৈশিষ্ট্য হলো বেশির ভাগেরই মৃত্যু হচ্ছে হাসপাতালে ভর্তির এক দিনের মধ্যে।


বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) গত আগস্ট মাসে তাদের এক বিশ্লেষণে জানায়, অর্ধেকের বেশি মৃত্যু ঘটেছে হাসপাতালে ভর্তির ২৪ ঘণ্টার মধ্যে। আর ৮০ ভাগের বেশি রোগীর মৃত্যু হয়েছে দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে। চলতি বছরের শুরু থেকে ১৭ আগস্ট পর্যন্ত ডেঙ্গুতে প্রাণ হারান ৪৪৪ জন। তাঁদের মৃত্যু নিয়েই ডব্লিউএইচওর বিশ্লেষণ তুলে ধরা হয়। সেখানে বলা হয়, এ সময়ে ২৪৭ জন বা ৫৬ শতাংশ রোগীর মৃত্যু হয়েছে হাসপাতালে ভর্তির এক দিনের মধ্যে। আর ৮১ শতাংশ রোগীর মৃত্যু হয় দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উপাত্ত নিয়েই এ বিশ্লেষণ করে ডব্লিউএইচও।


গত রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আরেক বিশ্লেষণে দেখা যায়, ১০ থেকে ১৬ সেপ্টেম্বর ডেঙ্গুতে যতজন মারা গেছেন, তাঁদের ৬৩ শতাংশই এক দিনের বেশি হাসপাতালে টিকতে পারেননি।


হাসপাতালে ভর্তির এক দিনের মধ্যে রোগীদের মৃত্যুকে অত্যন্ত দুঃখজনক এবং ভীতিকর বলে মনে করেন জনস্বাস্থ্যবিদ মুশতাক হোসেন। তিনি গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘হাসপাতালের ভেতরের ব্যবস্থাপনার কারণে এত অল্প সময় রোগীরা হাসপাতালে টিকছেন, এটা আমি মনে করি না। আমাদের গ্রামাঞ্চলে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের স্বাস্থ্য পরিষেবা থাকলেও সেগুলোকে ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধের জন্য যথেষ্ট উপযুক্ত করা হয়নি। যেমন কমিউনিটি ক্লিনিক বা উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগনির্ণয় ও চিকিৎসা দেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই। তাই রোগী আক্রান্ত হলেও অনেক ক্ষেত্রে বুঝতে পারছেন না। হঠাৎ পরিস্থিতি খারাপ হলে বড় হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু যখন নেওয়া হচ্ছে, তখন দেরি হয়ে যাচ্ছে।’


সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) সাবেক পরিচালক মাহমুদুর রহমান মনে করেন, দুই ধরনের ব্যবস্থা নিলে মৃত্যু কমতে পারে। এক. সচেতনতা বৃদ্ধিসহ মশার বংশবিস্তার রোধ করার মতো প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। দুই. ডেঙ্গু টেস্টের মান বাড়াতে হবে এবং দাম সাশ্রয়ী করতে হবে। প্রয়োজনে বিনা মূল্যে টেস্টের ব্যবস্থা করতে হবে।





Accusation that India could be behind gurdwara killing is significant shift, say some B.C. Sikhs

 

Prime minister said Monday that agents from India carried out killing of Hardeep Singh Nijjar

Members of the Sikh community are pictured at the Guru Nanak Sikh Gurdwara on Monday, near where former gurdwara president Hardeep Singh Nijjar was killed on June 18.

Some members of the B.C. Sikh community say the Canadian government's allegation that the government of India may have been involved in the killing of a Sikh leader is momentous.

Hardeep Singh Nijjar, the president of the Guru Nanak Sikh Gurdwara, was gunned down outside the Sikh temple on June 18, shortly after evening prayers had concluded.

Many of Nijjar's supporters had alleged that the Indian government was behind the assassination, especially as he was a prominent supporter of the movement for an independent Sikh state called Khalistan.

Nijjar had previously been called a "fugitive terrorist" by the Indian government and accused of playing a part in the killing of a Hindu priest — something his supporters have denied.

On Monday, Prime Minister Justin Trudeau formally accused the Indian government of playing a part in the killing, saying intelligence reports found credible links between Indian government agents and the slaying.

At a news conference outside the Guru Nanak Sikh Gurdwara on Monday, activist Harkirat Kaur described Nijjar as a father figure for her.

"Hearing what Justin Trudeau said ... finally, like, it's a sort of relief," she said. "But that kind of turned into resentment.

"Resentment of the fact that this has been going on for 40-plus years and it finally took for our leader to be killed for them to have some sort of acknowledgement."

Pro-Khalistan activists in Canada have previously alleged that foreign interference from India has been occurring for decades, and that Canadian intelligence agents did not do enough to protect Nijjar. 

Moninder Singh, a spokesperson for the B.C. Sikh Gurdwara Council, said the reaction in his community was mixed after the prime minister's announcement.

"If Canada is actually declaring that India is an actual actor in this, I think that's the first step towards acknowledging and the first step towards justice," Singh told a news conference.

"But until we actually see people behind bars ... I think it's kind of like skepticism right now that something is actually going to happen."

Moninder Singh said a public enquiry into Indian foreign interference in Canada should happen immediately.

He also said a public inquiry into Indian interference in Canada "needs to happen immediately."

B.C. premier 'deeply disturbed'

B.C. Premier David Eby said in a statement that he was "deeply disturbed and angered" by the information.

"Canadians across the country must be safe from the interference of foreign governments, including being targeted for threats or physical harm, including murder," the premier said.

B.C. Premier David Eby said he was deeply disturbed by the information that a B.C. Sikh leader may have been gunned down by Indian government agents, and called on anyone angered by the information to support the judicial system.

The premier said he received a briefing from Canadian Security Intelligence Service about the incident on Monday, and called on the federal government to share all information regarding foreign interference with the province.

"I join with those in the Sikh and Punjabi community, and the broader province, demanding justice and answers," he said. "Our government will fully and enthusiastically support any federal efforts to ensure those responsible are held personally accountable."

Political scientist says allegation 'shocking'

Shinder Purewal, a political scientist at Kwantlen Polytechnic University who has written extensively about the Khalistani movement in Canada, said that the prime minister's Monday accusation was "shocking," especially as it came after a tense meeting with Indian Prime Minister Narendra Modi.

"I think the next stage is going to be the Indian government's reaction," he told Gloria Macarenko, host of CBC's On The Coast"There is going to be some reaction because both countries do it on a mutual basis.

"Our trade talks were over about two weeks back. Trade mission to India is cancelled for October, so diplomatically we were at low ebb."

Former B.C. premier Ujjal Dosanjh said that the accusation of India's involvement was "very troubling" and would likely damage relationships between India and Canada in the long-term.

"You expect democracies, other countries, to abide by the rule of international law and not to go into other countries and target people that you might perceive as enemies," he said.

"Like most Canadians, I want to know what's going on because it is incredibly worrying that a country like India can come across borders and kill our citizens."

Storm surge, winds cause damage in South Shore communities

 

Danger of another damaging storm surge during next high tide tonight.

Communities along Nova Scotia's South Shore are assessing damage after high tide during post-tropical storm Lee caused flooding and washouts.

Mahone Bay resident Craig Stewart said storm surge peaked during high tide just before 10 a.m. Saturday.

Stewart said the water crested at about 1.5 metres above normal high-tide levels, causing some flooding on properties along Main Street.

According to Stewart, wind is the cause of much of the damage so far.

"We've seen one house had a tree fall on it right on Pleasant Street near downtown," he said.

"Fire crews have been active responding to downed power lines and there's been minor damage to properties. I lost a railing at about 8 a.m."

Boats broke away from moorings

House on the shore with waters rising around it.
Craig Stewart said properties along Main Street in Mahone Bay experienced some flooding as a result of the storm surge. (Craig Stewart)

He said most of the damage he has seen has been minor.

Stewart said the southeast winds are the "worst possible direction" as Mahone Bay is normally well protected and sheltered by the islands in the bay.

He said Lee has been pushing in water more than has been seen in years.

Noting that another high tide was expected tonight, Stewart said the winds are not expected to be as strong and he is hoping the storm surge is less severe.





A popular decongestant has been deemed ineffective. Here's what it means for Canadians Social Sharing

 

Phenylephrine doesn’t work any better than a placebo, U.S. panel finds

Phenylephrine, an ingredient used as a decongestant in many over-the-counter cold medications, is no more effective than a placebo, a U.S. expert panel found.

What happened? 

An independent panel for the FDA determined that phenylephrine was ineffective when taken in pill form.

The experts found that, when taken as a pill, only trace levels of the drug reach nasal passages to relieve congestion, rendering it ineffective. 

The drug appears to work better when applied directly to the nose, whether by sprays or drops, and those products are not under review in the U.S.

If it doesn't work, how did it get so popular?

Phenylephrine became the main ingredient in over-the-counter decongestants in the U.S. after pseudoephedrine, another drug, was restricted because it can be used to make methamphetamine.

Phenylephrine is also found in many decongestants in Canada, including Nyquil, though pseudoephedrine is still found in others, such as Sudafed.

Over the years, numerous studies have questioned the benefits of phenylephrine, finding it no better than a placebo in trials. 

The FDA advisory panel challenged the drug's effectiveness in 2007, but the regulator allowed the products to remain on the market pending additional research.

What do Canadian experts say?

Mina Tadrous, an assistant professor of pharmacy at the University of Toronto, says the panel's decision didn't come as a surprise.

"Phenylephrine is not considered to be that potent," he said. 

"This is a very classic tale where you have drugs that have been approved since the '60s and '70s, and we're kind of just revisiting them now with the lens of data and analysis that we didn't use back then."

Cold medications containing pseudoephedrine were restricted in the U.S. because the drug can be used to make methamphetamine. 

The Canadian Paediatric Society called phenylephrine's use into question in 2011. Dr. Michael Rieder co-authored a statement outlining the group's position at that time.

"Our statement basically said: 'Common cold medications don't work, don't use them,'" said Rieder, a professor specializing in pediatric clinical pharmacology at Western University in London, Ont. 

"There's no evidence that they work at all."

Phenylephrine carries minimal risk but such cold medications, he pointed out, can, of course, be expensive.

Rieder says there's also little evidence that pseudoephedrine is effective when ingested orally.

He notes decongestants also often contain acetaminophen, which can help alleviate the discomfort that comes with a cold. He recommends taking acetaminophen on its own, or another painkiller such as ibuprofen, for relief.

If this drug doesn't work, what does?

Given the wide range of options available, Tadrous recommends seeking help from your pharmacist.

Mina Tadrous, with the faculty of pharmacy at the University of Toronto, says phenylephrine is 'not considered to be that potent.' (Submitted by Mina Tadrous)

"The first person you should be talking to is your pharmacist and asking them, 'This is how I'm feeling, these are my symptoms. What is the best product for me?'"

Rieder, for his part, recommends people skip over-the-counter cough and cold medications altogether, and instead stay hydrated and rest up. A teaspoon of honey at night (for those over age one) a few times a day can also help, he says.

"We're in an age where people are less likely to suck it up," he said. "So many of these things just have to run their course."