WHAT’S HOT NOW

ads header

Business

Theme images by kelvinjay. Powered by Blogger.

Canada Reads champion and Jeopardy! superstar Mattea Roach recommends 3 'must-read' memoirs

  "Essentially, one key thing to know about Joan Didion is not only did she live most of her life in California, but she was a fifth-ge...

Contact form

Name

Email *

Message *

Search This Blog

Blog Archive

Mobile Logo Settings

Mobile Logo Settings
image

Recent

4/recentposts
[recent]

Ad Space

Responsive Advertisement

Comments

4/recentcomments

Subscribe Us

Facebook

Popular

Life & style

Games

Sports

‘অভ্যন্তরীণ’ ঝামেলায় ট্রফি জেতে না ভারত, মনে করেন রশিদ লতিফ

 আরেকটি ওয়ানডে বিশ্বকাপ যখন সামনে, তখন ভারত কেন এক দশক ধরে আইসিসি টুর্নামেন্ট জেতে না—এমন আলোচনা বেশ গতি পেয়েছে। এ নিয়ে নানাজনের নানা মত। পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার রশিদ লতিফের মনে হচ্ছে, ভারতের আইসিসি টুর্নামেন্ট না জেতার কারণ ‘অভ্যন্তরীণ’। বিরাট কোহলিকে অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ায় ভারতীয় দলে ছন্দপতন ঘটেছে বলে মনে করেন তিনি।


                               গত দুই ওয়ানডে বিশ্বকাপে ফাইনালে উঠতে পারেনি ভারত

ভারত আইসিসি টুর্নামেন্টে সর্বশেষ শিরোপা জিতেছিল ২০১৩ সালের আইসিসি ট্রফিতে। এরপর দুটি ওয়ানডে বিশ্বকাপ, তিনটি টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আর টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের দুটি ফাইনাল খেলেও ট্রফি জিততে পারেনি তারা।


এর মধ্যে ২০১৯ বিশ্বকাপের পর মহেন্দ্র সিং ধোনি ওয়ানডের অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিলে দায়িত্ব দেওয়া হয় কোহলিকে। তাঁর নেতৃত্বে খেলে ২০২১ টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নেয় ভারত। এরপর কোহলি টি–টোয়েন্টির নেতৃত্ব ছেড়ে দিলে ভারতীয় বোর্ড বিসিসিআই তাঁকে ওয়ানডে থেকেও সরিয়ে দেয়।


পাকিস্তানের সাবেক উইকেটকিপার–ব্যাটসম্যান রশিদ লতিফ
                                  পাকিস্তানের সাবেক উইকেটকিপার–ব্যাটসম্যান রশিদ লতিফ


রশিদ লতিফের মতে, কোহলিকে সরিয়ে দেওয়াটা ভারতের এগিয়ে যাওয়ার পথে ছন্দপতন ঘটিয়েছে, ‘কোহলি একটা নির্দিষ্ট অভিমুখে ছিল, জিততে চেয়েছিল। কিন্তু ওকে সরিয়ে দেওয়া হলো। এই দল অভ্যন্তরীণ ঝামেলার কারণে পারফর্ম করতে পারল না। তারা আইসিসি টুর্নামেন্টেও পারফর্ম করতে পারেনি। হতে পারে অধিনায়ক যেসব খেলোয়াড়কে চেয়েছে পায়নি, অথবা পেয়েছে ঠিকই, কিন্তু সঠিকভাবে কাজে লাগানো হয়নি।’


অক্টোবরে বিশ্বকাপ খেলার আগে চলতি মাসে শুরু হচ্ছে এশিয়া কাপ। এ দুটি টুর্নামেন্টের জন্য ভারতের ভালো দলই আছে বলে মনে করেন রশিদ। ব্যাটিং অর্ডারের ৪ নম্বর পজিশন নিয়ে ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা সম্প্রতি যে অপূর্ণতার কথা বলেছেন, সেটিও মিটে যাবে বলে নিজের ইউটিউব চ্যানেলে আশাবাদ প্রকাশ করেন পাকিস্তানের সাবেক উইকেটকিপার–ব্যাটসম্যান, ‘ভারতের সামনে দুটি বড় টুর্নামেন্ট। শ্রীলঙ্কায় খেলবে এশিয়া কাপ, দেশের মাটিতে খেলবে বিশ্বকাপ। ওদের দলটা এখনো খুব ভালো। তারা একজন ৪ নম্বর খেলোয়াড়ও পেয়ে যাবে।’


২০১৭ সালে যুবরাজ সিংয়ের অবসরের পর থেকে এখন পর্যন্ত ৪ নম্বরে ১৭ জনকে খেলিয়েছে ভারত। কিন্তু কেউই থিতু হতে পারেননি। এ সময়ে ২০ ইনিংসে ৪৭.৩৫ গড়ে ৮০৫ রান তুলে যিনি সবচেয়ে বেশি সফল, সেই শ্রেয়াস আইয়ার গত কয়েক মাস চোটের কারণে মাঠের বাইরে।


রশিদের মতে, টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যান দ্রুত আউট হয়ে যাওয়ার কারণে ৪ নম্বর পজিশন নিয়ে বেশি ভাবতে হচ্ছে ভারতকে। এর সমাধানে শিখর ধাওয়ানকে ফেরানোর পক্ষে মত দেন তিনি, ‘সমস্যাটা তৈরি হচ্ছে প্রথম তিনজন দ্রুত আউট হয়ে যাওয়ার কারণে। প্রথম তিনজন ২৫–৩০ ওভার খেলতে পারলে তারা সহজে জিততে পারবে। তারা শিখর ধাওয়ানকে ফেরাতে পারে, এক বছরের কম সময় আগে একটি ট্যুরে অধিনায়ক বানানো হয়েছিল। আপনার খেলোয়াড় আছে, কিন্তু তাদের আপনি এখানে–ওখানে ছুড়ে ফেলছেন।’

যৌন হয়রানির অভিযোগ, ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করল মিস ইউনিভার্স

 মিস ইউনিভার্স অর্গানাইজেশন তাদের ইন্দোনেশিয়ার আয়োজকদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। ইন্দোনেশিয়ায় অনুষ্ঠিত মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় যৌন হয়রানির অভিযোগ ওঠার কয়েক দিনের মাথায় এমন সিদ্ধান্ত ঘোষণা দেওয়া হলো। এ ঘটনার সূত্র ধরে মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠেয় প্রতিযোগিতাও বাতিল করা হয়েছে।



ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় গত ২৯ জুলাই থেকে ৩ আগস্ট পর্যন্ত সুন্দরী প্রতিযোগিতার নানা পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। এ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় প্রতিনিধিত্ব করার জন্য মিস ইন্দোনেশিয়া নির্বাচন করা হয়।


তবে মিস ইউনিভার্স ইন্দোনেশিয়ার ১২ জনের বেশি প্রতিযোগী অভিযোগ করেছেন, প্রতিযোগিতার সময় তাঁরা যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। চূড়ান্ত পর্বের ৩০ জন প্রতিযোগীর সবাইকে অপ্রত্যাশিতভাবে তাঁদের অন্তর্বাস খুলতে বলা হয়েছিল। শারীরিক পরীক্ষার নামে তাঁদের এমনটা করতে বলেছিলেন বলে অভিযোগ।  


প্রতিযোগীদের আইনজীবী গত মঙ্গলবার বলেন, টপলেস অবস্থায় পাঁচ প্রতিযোগীর ছবিও তোলা হয়েছিল।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মিস ইউনিভার্স অর্গানাইজেশন শনিবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ (আগে টুইটার নামে পরিচিত ছিল) একটি বিবৃতি দিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘মিস ইউনিভার্স ইন্দোনেশিয়ায় যা হয়েছে বলে আমরা জানতে পেরেছি, তাতে এটা পরিষ্কার যে এ আয়োজকেরা আমাদের ব্র্যান্ডের মানদণ্ড, নীতিমালা ও প্রত্যাশা অনুযায়ী চলছে না।’


বিবৃতিতে আরও বলা হয়, মিস ইউনিভার্স অর্গানাইজেশন ইন্দোনেশিয়ায় বর্তমান আয়োজকদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।  


মিস ইউনিভার্স অর্গানাইজেশনের দাবি, নারীদের জন্য নিরাপদ জায়গা নিশ্চিত করাকে তারা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে থাকে। প্রতিযোগীদের সাহসিকতারও প্রশংসা করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

ইন্দোনেশিয়ার এ আয়োজকদের মালয়েশিয়ায় মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতা পরিচালনার লাইসেন্স দেওয়া ছিল। সে কারণে এ বছর মালয়েশিয়ায়ও মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতা আয়োজন না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

জাকার্তা পুলিশের মুখপাত্র গত মঙ্গলবার জানিয়েছেন, অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।


চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের ৯ জনের বহিষ্কার বাতিল ‘মানবিক কারণে’

 মারামারি, কক্ষ ভাঙচুর ও সংঘর্ষের ঘটনায় এই নেতা-কর্মীদের এক বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছিল।


চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই উপপক্ষের সংঘর্ষের সময় সংগঠনটির নেতা-কর্মীদের দেশীয় অস্ত্র নিয়ে স্লোগান ও মহড়া দিতে দেখা যায়। ছবিটি ২ ডিসেম্বরের

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯ ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীর বহিষ্কার আদেশ বাতিল করা হয়েছে। ‘মানবিক কারণ’ দেখিয়ে গত ৩১ জুলাই এ সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব রেসিডেন্স, হেলথ অ্যান্ড ডিসিপ্লিনারি কমিটি। পরে গতকাল রোববার এ কমিটির সদস্যসচিব প্রক্টর নূরুল আজিম সিকদার স্বাক্ষরিত এক চিঠি বহিষ্কৃত ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের বিভাগ ও আবাসিক হলে পাঠালে বিষয়টি জানাজানি হয়।


আদেশ বাতিলের এসব চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, মানবিক দিক বিবেচনায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে ভবিষ্যতে যদি বহিষ্কার হওয়া এসব শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো ধরনের বিঘ্ন সৃষ্ট করার চেষ্টা করেন, তাহলে কারণ দর্শানো ছাড়াই তাঁদের বহিষ্কার করা হবে।

গত বছরের আগস্ট থেকে চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত মারামারি, কক্ষ ভাঙচুর ও সংঘর্ষের ঘটনায় এই নেতা-কর্মীদের এক বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছিল। ৯ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় বোর্ড অব রেসিডেন্স হেলথ অ্যান্ড ডিসিপ্লিনারি কমিটি এ সিদ্ধান্ত নেয়। তবে একই কমিটি এ সিদ্ধান্ত বাতিল করেছে।


জানতে চাইলে প্রক্টর নূরুল আজিম সিকদার প্রথম আলোকে বলেন, বহিষ্কারের পর অনেকেই এ আদেশ প্রত্যাহার চেয়ে আবেদন করেছিলেন। পরে বিষয়টি পুনরায় তদন্ত করা হয়েছে। এরপর যাচাই-বাছাই করে বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিটি।


যেসব ঘটনায় ছাত্রলীগের এই নেতা-কর্মীদের বহিষ্কার করা হয়েছিল, এর মধ্যে গত ২ ডিসেম্বর ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় রামদা উঁচিয়ে স্লোগান দেওয়ার ঘটনা সবচেয়ে আলোচিত ছিল। এ ঘটনার একটি ভিডিও চিত্র ৩ ডিসেম্বর প্রথম আলোর অনলাইনে প্রকাশিত হলে ব্যাপক সমালোচনা হয়। এ ঘটনায় ছয়জনকে বহিষ্কার করেছিল কর্তৃপক্ষ। তাঁদের বহিষ্কার আদেশও বাতিল করা হয়েছে।


বহিষ্কার আদেশ বাতিল হওয়া ছাত্রলীগের এই নেতা-কর্মীরা হলেন শাখা ছাত্রলীগের উপশিক্ষা ও পাঠচক্রবিষয়ক সম্পাদক সমাজতত্ত্ব বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী হাছান মাহমুদ। সংস্কৃত বিভাগের চতুর্থ বর্ষের অনিক দাস, একই বর্ষের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের তনয় কান্তি শিকদার, অর্থনীতি বিভাগের লাবিব সাঈদ, লোকপ্রশাসন বিভাগের আরশিল আজিম।


ইতিহাস বিভাগের তৃতীয় বর্ষের সিফাতুল ইসলাম, নৃবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র শোয়েব মোহাম্মদ (আতিক)। ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের নাহিদুল ইসলাম, একই বর্ষের ইতিহাস বিভাগের মো. মোবারক হোসেন। এই নেতা-কর্মীদের সবাই শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইলিয়াছের নেতৃত্বাধীন বিজয় উপপক্ষের কর্মী হিসেবে পরিচিত। এ উপপক্ষটি শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে নিজেদের পরিচয় দেন।


ছাত্রলীগের প্রভাবে এসব নেতা-কর্মীর বহিষ্কার আদেশ বাতিল করা হয়েছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইলিয়াছ প্রথম আলোকে বলেন, যে ১৭ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছিল, এর মধ্যে শুধু তাঁর অনুসারীদেরই পরীক্ষা দিতে দেওয়া হয়নি। অনেক ক্ষেত্রে পরীক্ষা দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হলেও ফলাফল আটকে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু অন্যদের ক্ষেত্রে এমনটা হয়নি। তাঁরা পরীক্ষা দিয়ে ফলাফলও পেয়েছেন। তিনি তাঁর অনুসারীদের ক্ষেত্রে কেন এমনটা করা হয়েছে, সেটি প্রশাসন থেকে জানতে চেয়েছিলেন।


মোহাম্মদ ইলিয়াছ আরও বলেন, তাঁর অনুসারীরা প্রশাসনের বিভিন্ন অনিয়মের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকায় সাবেক প্রক্টর রবিউল হাসান ভূঁইয়া ইচ্ছাকৃতভাবে বহিষ্কার করেছিলেন। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে রবিউল হাসান ভূঁইয়া বলেন, প্রক্টর কখনো একা সিদ্ধান্ত নেন না। উপাচার্য, সহ-উপাচার্য, ডিন, প্রাধ্যক্ষ ও বিভাগের সভাপতি নিয়ে গঠিত হয় ডিসিপ্লিন কমিটি। এ কমিটির সবাই যাচাই-বাছাই করেই সিদ্ধান্ত দিয়েছিলেন।


চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘মানবিক কারণ’ দেখিয়ে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের বহিষ্কারের আদেশ বাতিলের ঘটনা এর আগেও ঘটেছে। ২০২১ সালের ২৬ অক্টোবর সংঘর্ষে জড়ানোর অপরাধে ১২ শিক্ষার্থীকে ৬ মাসের জন্য সাময়িক বহিষ্কার করেছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এরপর বহিষ্কৃত হয়েও দুই মাসের মাথায় ডিসেম্বরে স্নাতকের প্রথম বর্ষের তিন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় বসেন।

India wants political stability in Bangladesh, says AL delegation after visit

 Awami League’s presidium member and agriculture minister Abdur Razzaque has said India wants political stability in Bangladesh.


Awami League presidium member Abdur Razzaque speaks at a press briefing organised on the party delegation's recent India visit.

The Awami League leader said this at a press briefing organised in the AL office in Dhanmondi today, Thursday.

A five-member AL delegation led by Abdur Razzaque visited New Delhi at the invitation of Bharatiya Janata Party (BJP) as part of its KNOW BJP initiative. The ruling Awami League organised today’s press briefing to appraise of this visit.


The delegation met Indian external affairs minister S Jaishankar, BJP’s president Jagat Prakash Nadda, Rajya Sabha leader Piyush Goyal and other important personalities.


“Indian external affairs minister said they want to see political stability and fair elections in Bangladesh. He also said they would help Bangladesh in the international sphere,” Abdur Razzaque said.

He also quoted Jaishankar as saying that prime minister Sheikh Hasina has been invited to attend the G-20 conference due in India next September.

Razzaque said Bangladesh-India relations are very good right now and it has been strengthened further during the recent visit of the delegation.

"We would continue to work on combating terrorism and militancy like in the past," Razzaque quoted JP Nadda as saying.

The Awami League presidium member said, "We also told them that we give great importance to bilateral relations with India."

Other members of the delegation--joint general secretary and information and broadcasting minister Hasan Mahmud, organizing secretary Sujit Roy Nandi, central working committee member Merina Jahan, MP and Aroma Dutta, MP, were present at the briefing.

Villavicencio assassination a ‘disturbing moment’ for Ecuador democracy, former running mate says

 The assassination of Ecuadorian presidential candidate Fernando Villavicencio marks a “disturbing moment” for the region and democracy, his successor and former running mate Andrea González Náder has in an exclusive interview.

“You never have enough time to process something so shocking and so sobering as the assassination of a presidential candidate (on) such a level of violence and so soon – so close to the presidential elections,” Náder Rafael Romo in an interview in the capital Quito on Saturday.

“This is a disturbing moment for the whole region and for the world’s democracy,” she said.

Náder was named as the new presidential candidate for Villavicencio’s Movimiento Construye political party following his death during a campaign rally on Wednesday as violence and crime escalates in the South American country.

She was seen wearing a bulletproof vest at a candidacy acceptance ceremony in the capital on Friday.

“Náder was chosen by Fernando Villavicencio and the Movimiento Construye as the designated successor to step in as president in the event of his absence,” the party said in a statement published online on Saturday.


Villavicencio, 59, an anti-corruption campaigner and lawmaker, was outspoken about violence caused by drug trafficking in Ecuador. His campaign had promised a crackdown on crime and corruption that gripped the country in recent years.

His killing came 10 days before the first round of the presidential elections, scheduled to take place on August 20.

His widow Veronica Sarauz expressed disagreement with Náder’s appointment in the wake of her husband’s passing and blamed the state for his murder, demanding answers as to why it happened.

“The state was in charge of Fernando’s security. The state is directly responsible for the murder of my husband. They did not protect him as they should have protected him,” Sarauz told a news conference on Saturday.

The 59-year-old was laid to rest in a private ceremony at the Monteolivo cemetery in northern Quito on Friday.

“The state still has to give many answers about everything that happened. His personal guards did not do their job,” she said.

Fernando Villavicencio speaks during a campaign rally in Quito.

Villavicencio’s assassination prompted an outpouring of condemnation from inside Ecuador and around the world.

The suspected shooter died in police custody following an exchange of fire with security personnel, authorities said.

Six others – all Colombian nationals – have also been arrested in connection with the killing, believed to be members of organized criminal groups.

Precautions

While authorities have not yet announced any confirmed links between gangs to Villavicencio’s assassination, the Ecuadorian Army Command announced the dispatch and deployment of 4,000 personnel – 2,000 military members and 2,000 police officers – to the Zonal 8 Detention Center in Guayas province “to establish control over weapons, ammunition and explosives within the prison.”

A high profile prisoner José Adolfo Macías Villamar, more popularly known by his alias “Fito” and jailed after being convicted of drug trafficking – is currently incarcerated in the prison, sparking concerns by the authorities.

Villavicencio – also a former journalist – had said in a televised interview on July 31 that he had been threatened by Macías and warned against continuing with his campaign against gang violence for the leadership.

Ecuadorian President Guillermo Lasso announced Saturday that Macías “and other dangerous prisoners” would be relocated to the La Roca maximum security prison after drugs, weapons, ammunition and explosives were found.

Images released by the armed forces on Saturday showed Macías being restrained and searched inside the facility. Macías as well as his gang members have not yet publicly commented on the assassination.

সুন্দরবনে ভোঁদড় দিয়ে মাছ ধরা বন্ধ, বিপাকে ছয় শতাধিক জেলে

 বংশপরম্পরায় ভোঁদড় দিয়ে সুন্দরবনের ভেতরে নদী-খালে মাছ শিকার করে আসছিলেন ৬৫ বছর বয়সী রবিন বিশ্বাস। তবে পাঁচ বছর আগে বন বিভাগ সুন্দরবনে ভোঁদড় দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করে দিলে তিনি পড়েন বিপাকে। শুধু তিনি নন, তাঁর মতো ছয় শতাধিক জেলের জীবিকায় টান পড়েছে, বেকার হয়ে পড়ে তাঁদের মানবেতর জীবন যাপন করতে হচ্ছে। সেই সঙ্গে তাঁরা ভোঁদড়গুলো না পারছেন বিক্রি করতে, না পারছেন ভোঁদড়গুলো পর্যাপ্ত খাবার দিয়ে বাঁচিয়ে রাখতে।


রবিন বিশ্বাসের বর্তমানে দুটি ভোঁদড় আছে। দুটি ভোঁদড় দিয়ে তিনি কাজলা ও চিত্রা নদীতে মাছ ধরে কোনোমতে সংসার চালাচ্ছেন। রবিনের ভাষ্য, সুন্দরবনে ভোঁদড় দিয়ে মাছ ধরে সংসার ভালোই চলত। এখন কাজলা ও চিত্রা নদীতে ভোঁদড় দিয়ে তেমন মাছ পান না। ফলে সংসার চালাতে খুব কষ্ট হচ্ছে।


রবিন বিশ্বাসের বাড়ি নড়াইল সদর উপজেলার কলোড়া ইউনিয়নের গোয়াইলবাড়ি গ্রামের কাজলা নদীতীরের জেলেপাড়ায়, যা স্থানীয়ভাবে মালোপাড়া হিসেবে পরিচিত। এখানে আড়াই শ জেলে পরিবারের বসবাস। এর মধ্যে প্রায় অর্ধশত পরিবারের লোকজন সুন্দরবনে ভোঁদড় দিয়ে মাছ শিকার করতেন। রবিন বিশ্বাস তাঁদেরই একজন। তিনি বলেন, প্রতিদিন দুটি ভোঁদড়ের মাছ লাগে দেড় থেকে দুই কেজি। নদীতে ভোঁদড় দিয়ে মাছ মেরে আর পেট চলছে না। আবার সুন্দরবনে মাছ ধরার অনুমতি পেলে বেঁচে যেতেন। ভোঁদড়গুলোও বেঁচে যেত। রবিনের স্ত্রী মিরা বিশ্বাস বলেন, সুন্দরবনে মাছ ধরার সময় সংসার ভালো চলত। এখন সংসার ঠিকমতো চলছে না।


নড়াইল সদর উপজেলায় ১০টি গ্রামের প্রায় ১৫০টি পরিবারের জেলেরা ভোঁদড় দিয়ে মাছ ধরতেন। প্রত্যেক পরিবারে নৌকা ছিল। মাছ ধরতে একটি নৌকায় চারজন করে মানুষের প্রয়োজন হতো। ছয় শতাধিক জেলে ভোঁদড় দিয়ে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতেন। পাঁচ বছর আগে সুন্দরবনে ভোঁদড় দিয়ে মাছ ধরা বন্ধ হয়ে গেলে তাঁরা পড়েন জীবিকার সংকটে।


ভোঁদড় স্তন্যপায়ী প্রাণী। স্থানীয় নাম ধাইড়া বা ধেড়ে। নৌকার এক প্রান্তে ভোঁদড়ের জন্য আলাদা করে খাঁচা বানানো থাকে। মাছ ধরার সময় খাঁচার ঢাকনা খুলে দেওয়া হয়। জেলেরা নৌকায় বাঁধা জাল নদীতে ফেলে জালের দুই দিক দিয়ে দুটি, তিনটি বা চারটি ভোঁদড় ছেড়ে দেন। লাঠির সঙ্গে এগুলোর শরীর দড়ি দিয়ে এমনভাবে বাঁধা থাকে, যেন ভোঁদড় ছুটে হারিয়ে না যায়। ভোঁদড় তাড়া করে ধরে মাছ খায়। এ সময় তাড়া খেয়ে মাছ পাতা জালে এসে আটকা পড়ে।


মালোপাড়ার বাসিন্দা ভবেন বিশ্বাসের ভোঁদড় আছে চারটি। চারটি ভোঁদড়কে প্রতিদিন তিন থেকে চার কেজি মাছ খেতে দিতে হয়। অথচ নদীতে তেমন মাছই পাওয়া যায় না। নিজেরা কী খাবেন, আর ভোঁদড়কে কী খেতে দেবেন? ভবেন বিশ্বাস বলেন, ‘খুব সমস্যায় আছি। সুন্দরবনে আবার মাছ ধরার অনুমতি দিলে খেয়েপরে বাঁচতে পারতাম।’



সম্প্রতি মালোপাড়ায় গিয়ে দেখা যায়, কাজলা নদীর কাছে ছোট একটি দোকান। দোকানটি ইটের গাঁথুনি, ওপরে টিনের ছাউনি। দোকানের সামনে বসে গল্প করছিলেন জেলেপাড়ার বাসিন্দা কার্তিক বিশ্বাস, শ্রীকান্ত বিশ্বাস, প্রহ্লাদ বিশ্বাস, নিখিল বিশ্বাসসহ বেশ কয়েকজন। তাঁদের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, নড়াইল সদর উপজেলায় ১০টি গ্রামের প্রায় ১৫০টি পরিবারের জেলেরা ভোঁদড় দিয়ে মাছ ধরতেন। প্রত্যেক পরিবারে নৌকা ছিল। মাছ ধরতে একটি নৌকায় চারজন করে মানুষের প্রয়োজন হতো। ছয় শতাধিক জেলে ভোঁদড় দিয়ে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতেন। ২০১৭ সালে সুন্দরবনে ভোঁদড় দিয়ে মাছ ধরা বন্ধ হয়ে গেলে তাঁরা পড়েন জীবিকার সংকটে।



দোকানের পাশে বেঞ্চে বসে অবসর সময় পার করছেন জেলেরা। সম্প্রতি নড়াইল সদর উপজেলার কলোড়া ইউনিয়নের গোয়াইলবাড়ি গ্রামের কাজলা নদীর তীরের জেলেপাড়ায়


৭০ বছর বয়সী কার্তিক বিশ্বাসের ভোঁদড় ছিল পাঁচটি। সুন্দরবনে মাছ ধরার পাস বন্ধ হওয়ার পর ভোঁদড় পালার খরচ বহন করতে না পেরে সব কটি ভোঁদড় বিক্রি করে দেন। কার্তিক বিশ্বাস বলেন, ১০০ বছরের বেশি সময় ধরে দিয়ে আসা মাছ ধরার পাস বন্ধ করে দেওয়ায় জেলেরা বেকার হয়ে পড়েছেন। তিনি আরও বলেন, ‘সুন্দরবনের ভেতরে নদী ও খালে ভোঁদড় দিয়ে মাছ ধরতাম। সেই মাছ বিক্রির টাকায় সংসার চলত। আমরা কোনো অবৈধ কাজ করিনি। সুন্দরবনের ভেতরে খালের মুখে বিষ দিয়ে মাছ শিকার করে কিছু মানুষ। তারা বন বিভাগের কাছে অভিযোগ দেন, আমরা নাকি ভোঁদড় ধরে বিক্রি করি। এ কারণে পাঁচ বছর আগে বন বিভাগ আমাদের মাছ ধরার পাস বন্ধ করে দিয়েছে।’

ধ্রুব বিশ্বাসের পূর্বপুরুষেরা ভোঁদড় দিয়ে সুন্দরবনের জলাশয়ে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করেছেন। ধ্রুব বিশ্বাসও পৈতৃক পেশায় এসেছেন। ভোঁদড় দিয়ে মাছ ধরা তাঁদের শত বছরের পারিবারিক ঐতিহ্য। ধ্রুবর ভাষ্য, সুন্দরবনে মাছ ধরা বন্ধ। এখন নদীতে মাছ কমে গেছে। খাল-বিলে বাঁধ দিয়ে মাছ ধরেন অন্য জেলেরা। সারা রাত মাছ ধরে ২০০–৩০০ টাকার বেশি মাছ পাওয়া যাচ্ছে না। সে জন্য অনেকে ভোঁদড় বিক্রি করে দিয়েছেন। বর্তমানে তাঁর ভোঁদড় আছে চারটি।

সুন্দরবনে ভোঁদড় দিয়ে মাছ ধরা নিষিদ্ধ করায় নড়াইলের বেশির ভাগ জেলে বেকার হয়ে পড়েছেন বলে জানিয়েছেন নড়াইল জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এইচ এম বদরুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘আমরা জেলেদের নানাভাবে সহায়তা করছি। একটি প্রকল্পের মাধ্যমে গোয়াইলবাড়ি গ্রামের ৬ জেলেকে ছাগল এবং ৬ জনকে জাল দেওয়া হয়েছে।’


খুব সমস্যায় আছি। সুন্দরবনে আবার মাছ ধরার অনুমতি দিলে খেয়েপরে বাঁচতে পারতাম।’


     দুটি ভোঁদড়ের পরিচর্যা করছেন এক জেলে। সম্প্রতি নড়াইল সদর উপজেলার কলোড়া ইউনিয়নের গোয়াইলবাড়ি          গ্রামে


স্থানীয় জেলে শ্যাম বিশ্বাস বলেন, তাঁদের কয়েক পুরুষ ভোঁদড় দিয়ে মাছ শিকার করেছেন। ঠাকুরদা গদাধর বিশ্বাস ও বাবা নিরাপদ বিশ্বাসের মাধ্যমে তিনি এ পেশায় আসেন। দুই শ থেকে তিন শ বছর ধরে চলছিল সুন্দরবনে ভোঁদড় দিয়ে মাছ ধরা। সুন্দরবনে মাছ ধরে বেশ টাকা আয় হতো। এখন পাস বন্ধ। নদী-খালে মাছ নেই। সারা রাত জেগে মাছ ধরেও ৩০০-৪০০ টাকার মাছ পাওয়া যায় না। বড় কষ্টে আছেন।



এ বিষয়ে জানতে চাইলে সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগ ও খুলনার বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আবু নাসের মোহসিন হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ভোঁদড় দিয়ে মাছ ধরার ঐতিহ্য ২০০–২৫০ বছরের। সুন্দরবনে জেলেরা ভোঁদড় দিয়ে মাছ ধরবেন, এতে সমস্যার কিছু নেই। বন বিভাগ সুন্দরবনে জেলেদের ভোঁদড় দিয়ে মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছে, এমন বিষয় তাঁর জানা নেই। জেলেরা ভোঁদড় দিয়ে মাছ ধরতে চাইলে তাঁদের সেই সুযোগ করে দেওয়া হবে।